মোঃ জাহিদ হোসেন জিমু
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।
গাইবান্ধার সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নে বেড়েছে ভুট্টার আবাদ। পুরো গিদারী ইউনিয়নে এবার কয়েক জাতের ভুট্টা লাগিয়েছে চাষিরা, যেমন -: পাঠান, মহাজাদু, রকেট,জমিদার, শাহিন শাহ,ও অনেক জাতের।
আবহাওয়া অনুকূল ঘাটতি থাকায়, ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে কৃষকদের ।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় গত বছর ১৮ হাজার ১৩৪ হেক্টর জমিতে ভুট্টা হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এবার অতিরিক্ত ১১ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। এই বছর আগের বছরগুলোর তুলনায় কম ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা।
উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের কৃষক মো: ইচাহক আলী জানান, বিগত কয়েক বছরে ভুট্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় এ বছর চর অঞ্চলের চাষিরা দিন দিন ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদ অঞ্চলসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে ব্যাপক হারে ভুট্টা আবাদ হয়েছে।
উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের ভুট্টা চাষি মাহাবুব রহমান বলেন, আগে এই এলাকায় গম, কাউন,চীনা,আলু, মিষ্টি কুমড়া ও পাট চাষ বেশি হতো, কিন্তু এবার ভট্টা চাষ বেশি হওয়ার কারনে দামও কম।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শ্রী আশা রানী জানায়, গত মৌসুমে উপজেলায় আনালের ছড়া ব্লকে ২৬০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে,কিন্তু এবার গাইবান্ধা উপজেলায় আনালের ছড়া ব্লকে ২৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকদের লাভ ও আগ্রহের কারণে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে, তিনি আরও জানায় -: ভুট্টা করার শুরু থেকে চার থেকে পাঁচবার পানি দিতে হয় এবং তিন থেকে চারবার সার দিতে হয়।
আনালের ছড়ার কৃষক মোঃ শাহিন মিয়া জানায়-: ১ বিঘায় ভুট্টা তোলা পর্যন্ত ২৬ থেকে ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়, এবং ভুট্টা বিক্রি হলে ৩৩ থেকে ৩৫ হাজায় আসে প্রতিবিঘায়।