নুরুল আবছার নূরী
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা। সড়ক -মহাসড়ক ও বিভিন্ন হাটবাজারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই অবৈধ ব্যাটারী চালিত হাজারো অটোরিকশা। যার কারণে প্রতিনয়তিই ঘটছে দূর্ঘটনা। বাড়ছে ভোগান্তি। স্হানীয়রা বলছেন প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় এই যন্রদানব বন্ধ হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম -খাগড়াছড়ি মহাসড়ক ও বিভিন্ন অভ্যন্তরীন সড়কে প্রায় ৩ থেকে সাড় তিন হাজারের মতো অটোরিকশা চলাচল করছে বলে স্হানীদের ধারণা। চালকদের বেপরোয়া গতি, যত্রতত্র পার্কিং, যাত্রী উঠা -নামা। দূর্বল ব্রাকিং ব্যবস্হা কারণে প্রায় দূর্ঘটনা ঘটছে। অনেকেই আহত হয়েছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানযট।
এই অটোরিকশা প্রচুর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নাজিরহাট পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র মুহাম্মদ আলী বলেন প্রায় আড়াই হাজার মতো হবে। বেপরোয়া গতি এই অটোরিকশা গুলো বীর দপে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বাড়ছে যানযট। ব্যাটারী চার্জয়ে অপচয় করা হচ্ছে বিদ্যুৎ। চালকেরা যাত্রী তুলে টক্কর দিয়ে অন্য যানবাহনকে ওভারটেক করে দ্রুত গতিতে অটোরিকশা গুলো চলায়। এই সব যানবাহন বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্হানীয়রা। নাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুসলিম উদ্দিন ও বিবিরহাট বাজারে ব্যবসায়ী মোহ মহি উদ্দিন বলেন এসব অবৈধ যান নিষিদ্ধ ঘোষিত হলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত বন্ধের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি।
কিছু স্বার্থন্বোষী মহলের কারণে এটা বেশি দুর এগোতে পারছে না বলে শুনেছি। উপজেলাবাসী এই অটোরিকশা নিয়ে মারাত্বক অসুবিধায় পড়েছে।
ধূরুংকুল আজিমনগর আহমদীয়া রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ শামীম হাসান বলেন এই বাহনকে একদম অনিরাপদ আখ্যা দিয়ে বলেন " প্রায়ই দূর্ঘটনা হচ্ছে। অঙ্গহানিসহ ছোটখাট ক্ষতি শিকার হচ্ছে নারী-পুরুষ শিশুসহ অনেকই।
ফটিকছড়ি উপজেলা পরিবেশ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোঃ সোলাইমান আকাশ বলেন মোটর লাগিয়ে চলছে এই বাহনটি। এতে করে হালকা ধরনের ব্রেকে কোনো নিয়ন্র রাখতে পারেনা। এতে নিয়মিত দূর্ঘটনা ঘটছে। তিনি বিষয়টি মাসিক সমন্বয় সভায় তুলে ধরবেন বলে জানা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা গত ১৭ এপ্রিল ঝংকার মোড় ওড়না পেছিয়ে এক কলেজ ছাত্রী, গত ২৪ মার্চ উপজেলা সদরে বিবিরহাট বাসস্ট্যান্ডে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত,১৮ এপ্রিল বিবিরহাট সড়ক দুর্ঘটনায় মোঃ নাছির উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
কয়েকজন অটোরিকশা চালক অভিযোগ করেছেন মাসোয়ারার বিনিময়ে তারা সড়কে এই গাড়ি চালান। মোঃ নুরুল বশর নামে এজ চালক বলেন " আমাদের অলিখিত একটি অটোরিকশা সমিতি আছে। সেটি নিয়ন্ত্রণ করে বি,এন,পি জামাতের নেতা। তাদের মাসোয়ারা দিয়ে আমরা এই অটোরিকশা চালাই। যে কোন সুবিধা -অসুবিধা তারা দেখেন। আহসান নামে আরেক চালক জানান থানা পুলিশ, হাইওয়ে থানার পুলিশ স্হানীয় বি,এন,পি- জামাতের নেতাদের কয়েকজন ব্যবাসায়ী ও অটোরিকশা মালিক ম্যানেজ করে। মাসিক টাকা দিলে সবশেষ।
এই সব বিষয়ে জানতে চাইলে নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাহাব উদ্দিন বলেন সরকারি নিষেধাজ্ঞা পাত্তা নাদিয়ে বিভিন্ন সড়কে চলছে ব্যাটারি চালিত এই অটোরিকশা। কিছু লোকের দাপটে এইসব অটোরিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন আদালতের ঘোষণার প্রেক্ষিতে এইসব যন্রদানবের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়া হবে। ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি ও বন্ধের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন