মোঃ হাসান আলী, উপজেলা প্রতিনিধি, বাঘাইছড়িঃ
রাঙামাটি থেকে মারিশ্যা ফেরার পথে বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা সড়কের ১১ কিলো নামক জুম্মবি আদম এলাকায় ইউপিডিএফ (মূল) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয় একটি যাত্রীবাহী পিকআপ (চট্ট মেট্রো-ন ১১-৯০৭৮)। ঘটনাস্থলে চালক মোঃ জিন্নাত আলী (৩২) কে বেদড়ক মারধর করে সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে তিনি বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল যৌথবাহিনীর অভিযানে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যুৎ চাকমা আটক হলে সংগঠনটি খাগড়াছড়ি-মাচালং-সাজেক রুটে গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা স্কটের মাধ্যমে গতকাল সাজেকে প্রায় ১৫০টি ট্যুরিস্টবাহী গাড়ি পৌঁছায়, যার ফলে সেখানে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি সন্ত্রাসীরা।
গতকাল (১লা মে) রাঙামাটি থেকে মারিশ্যা ফেরার পথে চালক জিন্নাত আলী (৩২) যখন যাত্রী নিয়ে জুম্মবি আদম এলাকায় পৌঁছান, তখন সুবেল চাকমার নেতৃত্বে তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেয় এবং চালককে মারধর করে। তারা গাড়ির চাবি, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় এবং গাড়িটি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। তারা সুষ্ঠু বিচার, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভ করে। পরে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির মুঠোফোনে জানান, “আমি হাসপাতালে গিয়ে আহত চালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। আমি উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আজ বিকেলে সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসে সমাধানের চেষ্টা করব।”
ঘটনাটি পাহাড়ি অঞ্চলের চলমান নিরাপত্তা সংকটকে আবারও সামনে এনেছে। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক।