জহিরুল ইসলাম, মধ্যনগর(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
আমি আব্দুস ছাত্তার সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ হিসেবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। ১৩ ও ১৪ মে, ২০২৫ ইং তারিখে বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদগুলোতে বলা হয়েছে, আমার ইউনিয়নের ৮ জন ইউপি সদস্য আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন।
এছাড়াও আামাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান তালুকদারকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের অবর্তমানে গত ৪/১২/২০২৪ ইং তারিখের সাধারণ সভায় আমাকে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান এবং আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়।
আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে নিয়মিত পরিষদে উপস্থিত থেকে ইউপি সদস্যদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ও তাদের সাথে পরার্মশ করে সকল কাজ বাস্তবায়ন করে আসছি। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ৩৯ এর ১৫ ধারা মোতাবেক পরিষদের চেয়ারম্যন বা সদস্যের দায়িত্বভার গ্রহণের ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনয়নের বিধান না থাকলেও ১,২ ও ৩ নং ইউপি সদস্য কাকলী রানী তালুকদার, ৪,৫ ও ৬ ইউপি সদস্য জেসমিন আক্তার, ৭,৮ ও ৯ ইউপি সদস্য রোকেয়া আক্তার, ১নং ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান তালুকদার, ৪নং ইউপি সদস্য সুমন বর্মণ, ৭নং ইউপি সদস্য সুশীল চন্দ্র বিশ্বাস ও ৯নং ইউপি সদস্য আলী উছমান নিয়মবহিভূতর্ভাবে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। যা অযৌক্তিক, বিভ্রান্তি ও মানহানীকর। ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান তালুকদারের পরামর্শে উল্লেখিত ইউপি সদস্যরা পরকল্পিতভাবে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
আমি এমন মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ।
-আব্দুস ছাত্তার
প্যানেল চেয়ারম্যান-১,
মধ্যনগর ইউপি, মধ্যনগর, সুনামগঞ্জ।