মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি: 
রাজবাড়ীতে মা ইলিশ নিধন রোধে জেলেদের মাঝে বিশেষ ভিজিএফ-২০২৫ খাদ্য শস্য বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তদারকি কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলায় ইউপি চেয়ারম্যান তার ইচ্ছামতো চাল বিতরণ করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জেলেরা।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে রাজবাড়ী শহরের রেল স্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখাযায়, দাদশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের প্রতিনিধি ফেরদৌস চাউল বিতরণ করছেন।
এখানে ট্যাগ অফিসার ও উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস উপস্থিত নেই। তবে সদর উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী মোঃ ইয়াকুব আলী উপস্থিতিতে চাল বিতরণ চলছে।
চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ফেরদৌস বলেন, ট্যাগ অফিসার উদ্বোধন করে চলে গেছেন। আমাকে যে ভাবে চাল বিতরণ করতে বলেছেন। সেভাবেই বিতরণ করছি। ৩জনকে এক স্লিপে ৮০ কেজি চাল প্রদানের কথা স্বীকার করেন।
জেলে মোঃ ইউসুফ সরদার, আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, আয়নাল মোল্যা বলেন, আমাদের প্রত্যেকের নামে ৮০ কেজি করে চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এক স্লিপে ৩জনের নাম লিখে ৮০ কেজি চাল ভাগ করে দিচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ করলেও কেউ কোন কথা শুনছেন না। আমাদের প্রাপ্য চাল আত্নসাৎ করবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা সঠিক তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে দাদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার শেখের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ট্যাগ অফিসার ও উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমি জরুরী কাজে বাইরে আছি। তবে গিয়ে বলে এসেছিলাম প্রত্যেককে ৮০ কেজি চাউল প্রদানের জন্য। ৩জনকে ৮০ কেজি ভাগ করে দিবে, তার কোন সুযোগ নেই।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়া হক বলেন, প্রত্যেক জেলেকে ৮০ কেজি করে চাল প্রদান করার কথা। ৩জনকে ৮০ কেজি ভাগ করে দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি এখনই দেখছি।
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা বলেন, জেলার ৫টি উপজেলার ৩ হাজার ১৮৯ জন জেলেকে মা ইলিশ নিধন রোধে জেলেদের মাঝে বিশেষ ভিজিএফ চাউল জনপ্রতি ৮০ কেজি করে বরাদ্দ করা হয়েছে। যদি এ চাল কেউ কম দেয়, তার কোন সুযোগ নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
