ঢাকামঙ্গলবার , ২০ মে ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সংবাদ প্রকাশের পর হেলে যাওয়া ভবন পরিদর্শন করেন নির্বাহী কর্মকর্তা

Link Copied!

নুরুল আবছার নূরী,ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম: 

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভার সদর একটি সাত তলা ভবন আর একটি ছয়তলা ভবনের উপর হেলে পড়া সততা খুঁজে পেয়েছেন প্রশাসন।

২০ মে মঙ্গলবার দুপুরে ভবনটি পরিদর্শন করেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এ ঘটনার তদন্তের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন।এবং ঝুকিপূর্ণ ভবনটির বাসিন্দাদের অতিদ্রুত নিরাপদে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি।
সবকিছু যাচাই বাছাই করে ৫সদস্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।
তিনি আরও বলেন ” গঠিত তদন্ত কমিটি সবকিছু পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা -নিরীক্ষা করে যাচাই বাছাই করে দ্রুত প্রতিবেদন জমাদেবে। সেই প্রতিবেদন ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে ঝুকিপূর্ণ ভবন থেকে লোকজন সরে যাওয়াই উত্তম।
উল্লেখ যে গত কাল ১৯ মে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকায় ফটিকছড়ি পৌরসভাতে ৭ তলা ভবন হেলে পড়েছে জীবন মরণ ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে বাসিন্দারা এই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন তৎপর হয়েছে বলে জানা গেছে। ভবন পরিদর্শন করার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ নজরুল ইসলাম,উপজেলা প্রকৌশলী বাবু তন্নয় নাথ,ফটিকছড়ি পৌরসভা ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী বাবু রাজিব বড়ূয়া ভবনের মালিক ও স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
স্হানীয় বাসিন্দারা জানান এর আগে ও দুইটি ভবনের মাঝে কিছুটা ফাঁকা ছিল। কিন্তু এখন সাততলা ভবনটি হেলে পাশের ছয়তলা ভবনের গায়ে পুরোপুরি ঠেকেছে।
ভবনটির মালিক জানলেও দীর্ঘদিন যাবত কোনো প্রতিকার মুলক ব্যবস্হা নেননি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। পৌরসভা সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের প্রায় ১০০ গজ সামনে বিএস ৭৮৫৫নং দাগের ৩১ শতক নাল জমিতে পৌরসভা বাসিন্দা মোঃ আবদুল খালেক ৭তলা এই ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ ভবনটি নির্মাণের সময় নিয়ম মানা হয়নি এবং পৌর কর্তৃপক্ষ এখনো ঝুকিপূর্ণ ভবনটির নকশা বাতিল করেননি। যে কোনো মুহূর্তে ভবনটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে পারে বলে আশংকা করছে।