মোঃ আমির হোসেন সোনারগাঁ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ অজ্ঞাত রোগের কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত সোমবার (১৯ মে/২৫) হঠাৎ করে ষষ্ঠ, সপ্তম ও দশম শ্রেণির সাতজন শিক্ষার্থী পর পর গত নামা আক্রান্ত হয় তাদের সহপাঠীরা তাৎক্ষণিকভাবে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় শিকার্থীদের শ্বাস কষ্ট জনিত ও বুক ব্যথা এবং পাতলা পায়খানা কথা জানিয়েছেন এই অবস্থা দেখে তাদের সঙ্গে থাকা দুই তিন জন অসুস্থ হয়ে যায়। কয়েকজন ছাত্রীর অবস্থা অবনতি হলে কর্মরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অভিভাবকদের সঙ্গে ফিরে আসেন ঐ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। ২০ মে মঙ্গলবার দুপুরে আরও একজন ছাত্রী একই রোগ আক্রান্ত হয় এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দিক নির্দেশনায় চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার পর পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন কে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি অবহিত করেন। নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শার্মীন তিথি সোনারগাঁ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি দুপুর বেলা পরিদর্শন করেন এবং বিদ্যালয়টি দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করেন। লোক মুখে শোনা যায় বহু বছর পূর্বে বিদ্যালয়ের টয়লেটের পাশে গলায় ফাঁস দিয়ে কেউ আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানা যায়। এ-ই বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। অন্য দিকে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি ও অপকর্মের হোতা সাবেক প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নানান প্রকার অপ্রয়োজনীয় অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ১৪ মার্চ ২০০১ সালে মতিউর রহমান প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন দায়িত্ব পালন কালে ক্ষমতার উৎসবে অনিয়ম দুর্নীতি অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে যায়।কেউ প্রতিবাদ করলে ফ্যাসিবাদী কিছু সরকারি রাজনৈতিক দলের নেতাদের ক্ষমতার বল প্রয় করত এমনকি অভিভাবক ছাত্রীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার অশালীন ব্যবহার করত বলে জানা যায় । ২০২৪ জুলাই, আগস্টের পরে বিতারিত হিসাবে প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান নানাবিধ উসকে নিয়ে ফুসলিয় তুলছে এবং পক্ষপাতিত্ব করছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী তিনি পুনরায় বহাল হতে তদবির করছেন বলে লোক মুখে গুঞ্জন রয়েছে। মতিউর রহমানের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন শিক্ষক শিক্ষিকা অভিভাবক ও শিকার্থীরা কন্ঠে কথা বলার সাহস ছিলো না। সাবেক প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান দ্বারা ইভটিজিং মত শিকার হয়েছে লজ্জিত হয়ে লজ্জায় মুখ খোলেনি কেউ।