মোঃ হাসান আলী, বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি (রাঙ্গামাটি):
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো "সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ ও সামাজিক সমস্যা নিরসন" শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট সদস্যদের দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন কোর্স।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ১০টায় উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ইমাম প্রশিক্ষণ হলরুমে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাঘাইছড়ি শাখার সাধারণ কেয়ারটেকার মো: আব্দুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন মডেল কেয়ারটেকার মো: বোরহান উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মুহাম্মদ ইকবাল বাহার চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ফিল্ড সুপারভাইজার মো. পেয়ার আহমদ, লংগদু উপজেলার ফিল্ড সুপারভাইজার মোজাম্মেল হক, বাঘাইছড়ি মডেল মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি সোলাইমান খান এবং পশ্চিম মুসলিম ব্লক জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কবির আহমদ। এছাড়াও বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং গণশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা যা শান্তি, সহমর্মিতা ও মানবিকতার শিক্ষা দেয়। ইসলাম কখনোই সন্ত্রাসবাদ কিংবা সহিংসতাকে সমর্থন করে না। ব্যক্তি, পারিবারিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে চললে সমাজের সকল সমস্যার সহজ সমাধান সম্ভব।
তাঁরা আরও বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী, একজন জ্ঞানী ও বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক। পরিপূর্ণ মুমিন হতে হলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।
বক্তারা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের মধ্যে বিভ্রান্তিকর ব্যবধান তুলে ধরে বলেন, ‘জং’ একটি ফারসি শব্দ যার অর্থ যুদ্ধ, আর ‘জঙ্গি’ অর্থ যোদ্ধা। অপরদিকে, সন্ত্রাসবাদ হলো নিরপরাধ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে উদ্দেশ্য হাসিলের অপচেষ্টা। অথচ পশ্চিমা বিশ্ব এই দুইটি ভিন্ন শব্দকে এক করে বিশ্বব্যাপী ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, ইসলাম নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। অথচ একটি গোষ্ঠী পশ্চিমা সংস্কৃতির ছায়ায় ইসলামের নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং নারী স্বাধীনতার নামে ইসলামবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে।
আলোচনায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম-বিশেষ করে মসজিদভিত্তিক শিশু শিক্ষা কার্যক্রমসহ অন্যান্য প্রকল্পের গুরুত্ব ও ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরা হয়।