মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার গান্ধীমারা বাজারে সৌদি প্রবাসী ব্যবসায়ী মোঃ নাসিরুল ইসলামের মার্কেট নির্মাণে বাঁধা ও কাজে থাকা ৪জনকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরে কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের বৃ-গোপালপুর গ্রামের আজাহার মন্ডলের ছেলে মোঃ কাওসার মন্ডল (৩৫), একই গ্রামের সামাদ সরদারের ছেলে ও কাজের ম্যানেজার আব্দুর রহমান (২৮), মানিক খানের ছেলে হাসান খান (৩০) ও চরমদাপুর গ্রামের জিন্নাহ মন্ডলের ছেলে হাসান মন্ডল (৩০) আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কাওসার মন্ডল ও আব্দুর রহমানকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও জসিম ও হাসানকে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ মে) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে কালুখালী উপজেলার গান্ধীমারা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুর রহমান, কাওসার মন্ডল বলেন, সৌদি প্রবাসী ও ব্যবসায়ী মোঃ নাসিরুল ইসলাম তার নিজস্ব ৬২ শতাংশ জমি ও জেলা পরিষদ থেকে ১২০ ফুট লম্বা ও ১৫ ফুট চওড়া জমি লীজ নিয়ে মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই একটি মহল মার্কেট নির্মাণ কাজে নানা ভাবে বাঁধা সৃষ্টি করে আসছিল। তাতে কোন কাজ না হওয়ায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মদাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কুদ্দুস ফকির, বাশার, কাওসার, কালাম, মিজান, মিরাজ, কাঞ্চে, জালাল বিশ^াস, রশিদ, ইদ্রিস সহ ৩০-৩৫জন কাজে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে কাজের সাইডে গেলে আমাদের উপর আতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে এলোপাথারী ভাবে মারধর করে। পরে কালুখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অভিযুক্ত মদাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কুদ্দুস ফকির বলেন, মার্কেট নির্মাণ কাজের ওখানে লোকজন জড়ো হয়। পরে ওরা আসলে তাদের সাথে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি হয়। কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমরা কাজে বাঁধা দেইনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি, তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।