ঢাকামঙ্গলবার , ২৭ মে ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজবাড়ীতে দ্বিতীয় দিনের মত চলছে সহকারী  শিক্ষকদের কর্মবিরতি শিক্ষার্থীরা বিপাকে

মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
মে ২৭, ২০২৫ ১১:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ আমিরুল হক,রাজবাড়ী প্রতিনিধি: 

১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে রাজবাড়ীতে দ্বিতীয়দিনের মত শ্রেণী পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রেখে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। আর শিক্ষার্থীরা স্কুলে গেলেও পাঠদান করায় বিপাকে পড়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্কুল গুলোতে শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন থাকলেও বেশির ভাগ স্কুলে কমেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি।
এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থীরা শ্রেণী পাঠদান বন্ধ থাকায় অনেকেই শ্রেণী কক্ষে নিজেরাই পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলায় মেতে উঠেছে। আবার কেউ কেউ বাড়ীতে চলে যাচ্ছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী কর্মবিরিতর কারণে বিদ্যালয়েই আসে নাই। তবে স্বাভাবিক রয়েছে বিদ্যালয় গুলোর অফিসিয়াল কার্যক্রম এবং প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপস্থিতি ছিল প্রায় শতভাগ।

এদিকে শ্রেণী পাঠাদান বন্ধ থাকায় বাচ্চাদের পড়াশুনা ক্ষতি হচ্ছে উল্লেখ করে অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আন্দোলন চলছে। এতে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া মেনে নিয়ে শিক্ষকদের শ্রেণী কক্ষে ফেরানো উচিত।

শিক্ষকরা বলছেন, রাজবাড়ীর ৪৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।

তাদের যৌক্তিক ৩ দফা দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন। এ সময় শুধুমাত্র শ্রেণী পাঠদান বন্ধ রেখে অন্য সকল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। পাশাপাশি বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছে নজরদারিতে। কেন্দ্র থেকে আসা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা কাজ করবেন।
তারা বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঠদান থেকে বিরত রয়েছি। তবে নিয়মমাফিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের দেখভাল করছি।” তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সহকারী শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার। প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবীদের তুলনায় আমাদের বেতনে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। আমরা এ বৈষম্যের নিরসন চাই।”
টাউন মক্তব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাহমিনা মুন্নি বলেন, “আমরা সময়মতো বিদ্যালয়ে আসছি, অন্যান্য অফিসিয়াল কাজ করছি। শুধু পাঠদান থেকে বিরত রয়েছি। শিক্ষার্থীদের যাতে বিশৃঙ্খলা না করে, সেদিকে খেয়াল রাখছি।”

একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার বলেন, “আমাদের এখানে ৮ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। সকলেই কর্মবিরতিতে থাকায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের তদারকি করতে প্রধান শিক্ষকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।” কর্মবিরতির কারণে শিক্ষা কার্যক্রমে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও শিক্ষকরা বলছেন, তাদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।