ঢাকাবুধবার , ২৮ মে ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

“২০ বছর প্রবাসে” এনামের ১টি থেকে ২০ টি গরু শতাব্দী খামারে 

Link Copied!

নুরুল আবছার নূরী,ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম: 

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা নাজিরহাট পৌরসভার দীর্ঘ ২০ বছর প্রবাসে কাটিয়েছেন এনাম।জীবনের সোনালী দিন গুলো কাটিয়ে দিয়েছিলেন প্রবাসের ব্যবসা-বাণিজ্যে। তবে সুবিধা করতে না পেরে সব গুটিয়ে ফিরে আসেন দেশে। শুরু হয় নতুন আরেক যুদ্ধ -বেকারত্ব আর অভাবের সঙ্গে। অনেকের ধারে ধারে ঘুরে মিলেনি স্হায়ী কোনে সমাধান। শেষে নিজের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কিনলেন একটি গরু (ষাঁড়)। সে একটি মাত্র গরুই তাকে খ্যাতি এনে দিয়েছে সফল খামারি।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা নাজিরহাট পৌরসভার দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামে মোহাম্মদ এনামের বাড়ি। সেখানে গড়ে তুলেছেন তিনি শখের স্বপ্নের খামার।শতাব্দীর এগ্রো ফার্মস।পরিশ্রম আর নিস্টায় তিনি এলাকাবাসীর কাছে উদাহরণ হিসেবে হয়ে উঠেছেন।বর্তমানে তাতে রয়েছে বিভিন্ন জাতের ছোট বড় ২০টি গরু।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নিজ বাড়ির সামনে পরিপাটি একটি গরুর খামার গড়ে তুলেছে এনাম।খানারের প্রতিটি কাজ এনামের সরাসরি সম্পৃক্ততা চোখে পড়ে। কখনো গরুগুলার জন্য ঘাস খাবার যোগাচ্ছেন,কখনো পানি দিচ্ছেন, কখনো নিজ হাতে গোবর পরিষ্কার করছেন।
এনাম জানাই মাত্রএকটি গরু দিয়ে শুরু করলেও তাকে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। প্রতিটি গরু তিনি নিজেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করেছেন। খামারের পরিসর বাড়াতে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ টি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি শেড নির্মাণ করা হয়। ভবিষ্যতে আরও বড় আকার ধারণ করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার।
আসন্ন কোরবানি ঈদ সামনে রেখে বিক্রয় প্রস্তুতি সম্পর্কে মোঃ এনাম বলেন অনেকেই ইতিমধ্যেই খামারে এসে গরু দেখছেন দরদাম করছেন। অনলাইনে গরু দেখা এবং বেচাকেনার সুযোগ রয়েছেন। চাইলে ক্রেতার বাড়িতে পৌছিয়ে দেওয়ার ব্যবস্হা রাখা হয়েছে।
পশুখাদ্যে দাম অনেক বেশী। তাই শুধু মুলধন নয়,অতিরিক্ত অর্থের ব্যবস্হা থাকতে হবে। তা না হলে এই ব্যবসার পরিসর বাড়ানো সম্ভব নয়।
খামারে খরচ খাবার সম্পর্কে তিনি বলেন প্রাকৃতিক ঘাস, খড়,গমের ভূষি, লবন,খৈল,বুটের ভূষি নিয়মিত খাওয়ানো হয়।প্রতিটি গরুর পেছনে বছরে গড়ে ৩০ – ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। তবে খামার পরিচালনার পথে চ্যালেঞ্জের কথা ও জানা তিনি। এনামের ভাষায় গরুর খাবারের দাম বেড়ে গেছে অনেক। এতে খরচ ও বেড়েছে। হিমসিম খেতে হচ্ছে।
বেকার যুবকদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক বার্তা দিয়ে এনাম বলেন ‘ পরিশ্রম করলেই যে কেউ উদ্যোগতা হতে পারেন। বড় পরিসরে না হলেও দুই চারটি গরু নিয়ে শুরু করলে ধীরে ধীরে সফল হওয়া সম্ভব।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবদুল মমিন বলেন এনাম একজন পরিশ্রমি ও সফল খামারী।তাকে দেখে অন্যারা উদ্বুদ্ধ হবেন। তিনি অবশ্যই সরকারি সহযোগীতা পাওয়ার যৌগ্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন সরকারের উদ্যোতা তৈরির ও আত্নকর্মসংস্থান বৃদ্ধি করার লক্ষ্য বাস্তবায়নে এনামের কাজ অত্যন্ত ইতিবাচক। আমরা তাকে সরকারি সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করবো।