ইমরান প্রধান
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন কামদিয়া সড়কে রাণীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে দীর্ঘদিন ধরে খোলা জায়গায় ময়লা ফেলা হচ্ছে। স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা নিয়মিতভাবেই সেখানে বর্জ্য ফেলায় গড়ে উঠেছে এক স্থায়ী ময়লার ভাগাড়। এর ফলে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র দুর্গন্ধ, দূষিত হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ।
এই এলাকার পাশেই রয়েছে একটি সরকারি ডাকঘর এবং আশেপাশে রয়েছে বসতবাড়ি। ফলে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, পথচারী, যাত্রীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অনেকে নাক চেপে রাস্তা পার হতে বাধ্য হচ্ছেন, আর ভাগাড়ে থাকা কুকুররা প্রায়শই পথচারীদের ওপর চড়াও হচ্ছে, যা জননিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় এক বছর ধরে এভাবেই ময়লা ফেলা হচ্ছে। এর ফলে কামদিয়া সড়কের পাশে একটি স্থায়ী বর্জ্যের ভাগাড় গড়ে উঠেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, দুর্গন্ধযুক্ত পঁচা ময়লায় ভরে গেছে এলাকার একটি বিশাল অংশ, যা পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিকেও বাড়িয়ে তুলেছে।
প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। দুর্গন্ধের কারণে চলাচলকারী ভ্যানযাত্রী ও পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বাড়ির জানালা বন্ধ রেখেও দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না।
রাণীগঞ্জ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ছদু মিয়া বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে পরিবার নিয়ে ঘরে বসে থাকাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। দ্রুত এই ভাগাড় সরানোর দাবি জানাচ্ছি।
একই সুরে পথচারী ও ব্যবসায়ীরাও জানান, রাণীগঞ্জ বাজার প্রথম শ্রেণির হলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এমন অব্যবস্থাপনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলা হলে বাতাসে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে এবং মাছির মাধ্যমে সংক্রামক রোগও ছড়িয়ে যেতে পারে। স্থানীয়দের মতে, এটি শুধু গন্ধজনিত সমস্যা নয়; এটি একটি ভয়াবহ জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি।
জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয়দের জোর দাবি—রাণীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন খোলা বর্জ্যের ভাগাড়টি দ্রুত অপসারণ করে একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের স্বাস্থ্য সংকট ও পরিবেশ বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন নাগরিকরা।