ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৯ মে ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চুরির ও গৃহবধুর গোসলের ভিডিও ধারণের অপবাদ দিয়ে রাজবাড়ীতে ভ্যান চালক হত্যার ঘটনায় ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে আরেকটি মামলা

মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
মে ২৯, ২০২৫ ৬:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ আমিরুল হক,রাজবাড়ী প্রতিনিধি: 

রাজবাড়ী সদর উপজেলার রাজাপুরে শাহীন শেখ ওরফে রুপল শেখ (২৭) নামে এক ভ্যান চালককে বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে ও নির্যাতন করে হত্যা করে। রুপল শেখ সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের জিন্নাহ শেখের ছেলে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজবাড়ী সদর আমলী আদালতে ১২জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন নিহত রুপলের মা রাবেয়া বেগম।

মামলার আসামীরা হলো, রাজবাড়ী সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মোঃ শামসুদ্দিন বিশ্বাস ওরফে শাম (৫৭), রুকমান বিশ্বাসের ছেলে মোঃ জহিরুদ্দিন বিশ্বাস (৬৫), মৃত তমিজ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মোঃ মোক্তার বিশ্বাস (৪৫), মৃত কাশেম বিশ্বাসের ছেলে রিপন বিশ্বাস ওরফে কচি (৪৫), মোঃ শামসুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মোঃ রাফিজুল বিশ্বাস (২৫), রিপন বিশ্বাসের ছেলে অন্তর বিশ্বাস (১৯), বাচ্চু বিশ্বাসের ছেলে সৌরভ বিশ্বাস (২২), ফরিদের ছেলে রাসেল মোল্যা (২২), মৃত তমিজ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মকিম বিশ্বাস (৫৪), মোক্তার বিশ্বাসের স্ত্রী সোমা বিশ্বাস (২৭), মোঃ শামসুদ্দিন বিশ্বাসের স্ত্রী রাহেলা বেগম (৪০), রাকিবুলের স্ত্রী তন্দ্রা বেগম (২২) সহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮জন।

মামলার অভিযোগে প্রকাশ, গত ১৬ মে রাতে গ্রাম্য শালিস হওয়ার কথা ছিল। গত ১৬ মে বিকাল ৫ টার সময় শাহিন শেখ ওরফে রুপলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাকে ধরে নিয়ে শামসুদ্দিন ওরফে শাম বিশ্বাসের বাড়ীর ভিতর নিয়ে যায়। তার বাড়ীর আঙ্গিনায় মিথ্যা চুরি ও গৃহবধুর গোসলের ভিডিও ধারণের অপবাদ দিয়ে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথারী ভাবে মারধর করে। তার শরীরে ঠিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার রড দিয়ে মারধর করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তখন স্থানীয় লোকজন তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় শনিবার (১৭ মে) রাজবাড়ী সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নসের উদ্দিন মোল্লার ছেলে রুপলের মামা মোঃ কালাম মোল্লা (৫৪) বাদী হয়ে ১০জনের নাম উল্লেখ করাসহ ৭-৮জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ গত ১৭ মে রাজবাড়ী সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের রুকমান বিশ্বাসের ছেলে মোঃ জহিরুদ্দিন বিশ্বাস (৬৫), মৃত ফেলু বিশ্বাসের ছেলে মোঃ মৈজদ্দি বিশ্বাস (৫৫), ফরহাদ বিশ্বাস (৪৫), খালেক মোল্লার ছেলে  মোঃ মুন্নু মোল্লা (৫০) কে গ্রেপ্তার করে। পরে গত ২১ মে রাজবাড়ী সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের রিপন বিশ্বাস ওরফে কচি বিশ্বাসের ছেলে অন্তর বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে।

তবে, রুপমের মামা মোঃ কালাম মোল্লার দায়েরকৃত মামলা নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তিনি মামলাটি করেননি বলেও সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেন।

গত ১৮ মে বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার রাজাপুরে গ্রামবাসীর আয়োজনে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও নিরিহদের মুক্তি দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলকারীরা প্রধান অপরাধী রাফিজুলের বাড়ীতে হামলা করে। এসময় ওই বাড়ীতে সাদা পোশাকে থাকা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজবাড়ী সদর থানার এসআই সাব্বির হোসেনের সাথে কথাকাটাকটি হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিতরা তার উপর হামলা করে। হামলার ঘটনায় ওই দিনই মোঃ মনির হোসেন মোল্লা ওরফে বড় মনির, মোঃ মোসলেম মোল্লা এবং গত ২০ মে প্রধান আসামী বছির কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রাজবাড়ী বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাড. হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।