ঢাকারবিবার , ১ জুন ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অস্ত্র হাতে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল পাংশার দক্ষিণাঞ্চলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা মাথা চারা দিয়ে উঠছে

মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
জুন ১, ২০২৫ ৩:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ আমিরুল হক,রাজবাড়ী প্রতিনিধি

সন্ত্রাসের জনপথ খ্যাত রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল কসবামাজাইল ইউনিয়নে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আবার মাথা চারা দিয়ে উঠছে। আওয়ামী লীগের শাসনামালে পরেত বাহিনী, অমল বাহিনী, মোয়াজ্জেম বাহিনী, সজল বাহিনী, করম আলী বাহিনী, টিক্কা বাহিনী, ওহাব বাহিনী, বিকাশ বাহিনী, সর্বহারা পার্টি সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত বাহিনীর উত্থান ঘটে। এসকল বাহিনীর অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এ সব বাহিনী নিষ্কিয় ভূমিকা পালন করলেও বর্তমানে আবার মাথা চারা দিয়ে উঠছে।

গত ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর রাজবাড়ীর পাংশার আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারাও গাঢাকা দিয়েছে। তবে অনেকেই আবার এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। কসবামাইল ইউনিয়নের বাংলাট পারকুল গ্রামের একটা অংশে দীর্ঘ দিনধরে মুজিব নগর হিসাবে ঘোষণা দেয়। পরে ওই এলাকায় মজিবনগর নামকে বাদ দিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীরা ঘোষণা দেন এখানে আর মুজিবনগর নয় এখন থেকে এটা হবে জিয়ানগর। এরপর থেকেই নানা ভাবে ওই এলাকায় বিভিন্ন অজুহাতে হামলা, ভাংচুর ও প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শণের মহড়া চলছে। গত ২৫ মে পারকুল গ্রামে (জিয়া নগর) বিএনপির সমর্থকদের অন্তত ২০টি বাড়ীতে রাতের অন্ধকারে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলার ভাংচুর করে। এ ঘটনায় গুলি বিনিময়ের মত ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়ান্ত্র ব্যবহার হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চলে অস্ত্রের রাজনীতি করেছে বর্তমানে তারাই বিএনপির কোন পক্ষের সর্মথন আদায়ের লক্ষ্যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত চলছে নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড।
সম্প্রতি পারকুল  গ্রামের আল আমিন ও রাসেল নামের ২ যুবকের অস্ত্র হাতে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টিকটক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন সময় এ অস্ত্রধারীরা নিজেদের টিকটক একাউন্টে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে নানা ভাবে মানুষকে অস্ত্রের হুমকি দিয়ে আসছিল। তারাই এখন ভোলপাল্টে  বিএনপির নামধারী ক্যাডার হওয়ার চেষ্টা করছে। কসবামাজাইল ইউনিয়নের পারকুল গ্রামে ভাংচুরের মামলার ৩নং আসামী রাসেল ও ১৭ নং আসামী আল আমিন নিজেদের অস্ত্রধারী প্রমাণ করতে তাদের আইডিতে  অস্ত্রের ছবি পোষ্ট করেছিল। সেই অস্ত্রের ছবি এখন ভাইরাল হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,  প্রকাশ্যে অস্ত্রের ব্যবহার হলেও মামলার পরও একজন আসামীকেও ধরতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় ভাবে পরিচিতি আওয়ামী লীগের প্রকাশ্যে ক্যাডার তারা এখনও এলাকায় ঘুরছে। মামলার অন্যতম আসামী আকমল হোসেন টিক্কা এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখতে নানা ভাবে কুটকৌশলী করে এলাকায় অবস্থান  করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপি  নেতা মকবুল হোসেন।
পাংশা উপজেলা বিএনপির সদস্য ও  কসবামাজাইল ইউনিয়নের ৭ নং ইউনিটের নেতা মবকুল হোসেন বলেন,  আমরা এ এলাকাকে জিয়া নগর ঘোষণা  দেওয়ার  পর থেকে বাংলাট গ্রামের আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী নেতা টিক্কার নেতৃত্বে কয়েকদফা হামলা করা হয়েছে। বিএনপির পার্টি অফিস ভাংচুর, জিয়াউর রহমান,  বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের ছবি ভাংচুর সহ অন্তত ২০টি বাড়ীতে হামলা চালায়। হামলায় ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, আনোয়ার মন্ডল, এলাই মন্ডল, আব্দুস সালাম মোল্লা, আরোজ মন্ডল, বাবু মোল্লা, মানিক মোল্লা, সিয়াম  মোল্লা, মনির মোল্লা, রমজান মন্ডল, ইজহার বিশ্বাস, আব্দুল মান্নান বিশ্বাস, জহির বিশ্বাস, বসির মন্ডল, মাহতাব মন্ডল, শাহায় মন্ডল, হামিদ  মোল্লা, পান্না মোল্লা, মন্টু, সাদ্দাম, শাহিন, লিমু, আন্না খাতুন, মোস্তফা সরদার।

মকবুল হোসেন, মাহতাব মন্ডলসহ স্থানীয়রা বলেন, জিয়া নগর ঘোষণা দেওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে টিক্কা ও তার  লোকজন এ হামলায় জড়িত। হামলায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয় একই এলাকার সালাম মন্ডল, জিয়া মন্ডল, মিন্টু মন্ডল, শাফি, নায়েব, হেলাল, দুলাল, রাসেল, আল আমিন, জিহাদ সহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন। এ ঘটনায় পাংশা মডেল থানায় আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।  মামলার  পরপরই কিছু আসামী আদালত থেকে জামিনে এসে পূনরায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি  করছে।

পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ তৎপর রয়েছে। ওই এলাকায় পুলিশের  বিশেষ নজরদারীতে রয়েছে। কেউ অপরাধ করে পার পাবে না। আমরা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান নিয়মিত করছি।