নুরুল আবছার নূরী,ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম :
শেষ সময়ে এসে জমজমাট হয়ে উঠেছে ফটিকছড়ির কোরবানি পশুর হাট।উপজেলার স্হায়ী অস্থায়ী মিলে ৪২টি পশুর হাট রয়েছে। নাজিরহাট, বিবিরহাট, কাজীরহাট, নানুপুর আজাদী বাজার, চামড়ারদিঘি, বাগানবাজার,চিকনছড়া
হেয়াকো, দাতঁমারা, নারায়নহাট, বৃন্দাবনহাট,মোহাম্মদ তকিরহাট,শান্তির হাট,দৌলত মুন্সিরহাট,কাঞ্চননগর হাট,চমুরহাটসহ বিভিন্ন জায়গায় কোরবানি পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
বাদ যাচ্ছে না খামারীরা।তবে দাম চড়া ।
আজ(৩১মে)কয়েকটি বাজারে সরজমিন গিয়ে দেখা যায় প্রচুর গরু এনেছে বিক্রেতেরা। ক্রেতা ও কম নয়। শেষ মুহূর্তে বাজারে ক্রেতা -বিক্রতার সমাগমে তিলধারণ টায়নায়।বিক্রেতা দাম হাকঁছে বেশি। দরদামে না মিললে ও কিনে নিয়ে যাচ্ছে পছন্দের গরু। নাজিরহাট বাজারে গরু কিনতে আসা সোহেল নামের এক জন জানান বাজারে ঘুরে গরু দেখছি। দাম ঠিক হলে কিনে নিয়ে ফিরব।
জসিম নামের এক বিক্রেতা জানান নিজের পালিত ২টি গরু বিক্রিরীর জন্য নিয়ে এসেছি। ৩লাখ দাম চেয়েছি কাছাকাছি উঠেছে আর একটু বেশি পেলে বিক্রি করে দিব। মজহার নামের আরেক বিক্রেতা বলেন ক্রেতা এসেছে দাম জানতে। তবে আমার চাওয়া অনুযায়ী দাম হচ্ছে না। নাজিরহাট বাজারের ইজারাদার মোঃ ইউছুফ বলেন গত বছরের চেয়ে গরু ২০-২৫ শতাংশ বেড়েছে। বিক্রেতারা দাম বেশি চাওয়ায় এখানো পর্যন্ত বিক্রি কম।তবে শেষ সময়ে বাড়বে বলে আশা করছি।
এদিকে কোরবানিকে সমনে রেখে উপজেলার স্হায়ী বিভিন্ন খামারের পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু মহিষ সংগ্রহ করে উপজেলার প্রায় শতাদিক মৌসুমি খামারি গড়ে উঠেছে।
এসব খামারের অধিকাংশই প্রধান সড়ক গুলোর পাশে যতায়তের সুবিধা এবং চাহিদা অনুযায়ী পশু থাকায় অনেকই ভিড় করেছে এসব খামারের। তাছাড়া এসব খামার থেকে পশু কিনলে হাঁচিল দিতে হয় না। আলমগীর নামের এক ব্যক্তি জানান বাজার থেকে গরু কিনতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। ভিরের মধ্যে দেখে শুনে গরু নেওয়া যায় না। এসব এড়াতে খামার থেকে গরু কিনতে আসলাম।
মৌসুমি ব্যবসায়ী আলম বলেন আমার দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেখে শুনে গরু সংগ্রহ করে এনেছি। আমাদের ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের গরু রয়েছে। তাই ভাল বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে যত্রতত্র অস্থায়ী গরু হাট বসানোর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার স্হায়ী ইজারাদাররা।তারা জানান লাখ লাখ টাকা দিয়ে আমরা বাজার নিলাম নিয়েছি। আশায় থাকি কোরবানি মৌসুমে আমাদের টাকা উঠে আসবে। কিন্তু এসব অস্থায়ী বাজার থেকে পশু কিনার কারণে লোকসানের শিকার হচ্ছি আমরা। ইজারাদার মোঃ শফিউল আলম বলেন এসব অস্থায়ী খামার গড়ে উঠায় বিগত কয়েক বছর ধরে হাটবাজারে কোরবানি পশু বেচা কিনা অনেকটা কমে এসেছে। বিনিয়োগ করা টাকা তুল আনতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বিবিরহাট বাজারের ইজারাদার মোঃ বদি উল আলম বলেন যত্রতত্র অস্থায়ী গরু হাট বসানোর কারণে ব্যাপারী ও ব্যবসীরা বাজারে গরু এনে মার খাচ্ছে। বিষয়টি সংলিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে দিলে ও কোনো প্রতিকার পাইনি।