স্টাফ রিপোর্টার (নিকলী):
জুলাই অভ্যুত্থান—বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায়, যেখানে ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রাম নতুন গতি পায়। এই আন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন কমরেড সাজেদুল ইসলাম সেলিম। কিন্তু প্রচার-প্রকাশনার আড়ালে তাঁর নাম আজ অনেকটাই ম্রিয়মান।
একদিকে রাজনৈতিক সুযোগ সন্ধানীদের কৃত্রিম আলোড়ন, অন্যদিকে মিডিয়ার নিরবতা—সব মিলিয়ে অনেক সত্যই চাপা পড়ে আছে। এমনই এক চাপা পড়া, মূল্যবান সত্যের নাম সেলিম।
প্রথমে ছিলেন গোপন সংগঠক। গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন, বিপদের আশঙ্কা সত্ত্বেও আন্দোলনের ছায়াসঙ্গী ছিলেন গ্রামের ঘরে ঘরে। ছাত্রদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন শুরু হলে আর গোপন থাকতে পারেননি। বুক চিতিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন সম্মুখ সমরে। নেতৃত্ব দেন, জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেন। তবু কারো দোরে দাঁড়াননি পুরস্কার চেয়ে, দাবি জানাননি স্বীকৃতি।
প্রচারবিমুখ, ত্যাগী এই নেতার অবদান আজ ইতিহাসের পাতায় অনেকটাই উপেক্ষিত। অথচ তিনিই ছিলেন সেই অভিভাবক, যিনি তলে তলে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সাহস জুগিয়েছেন, সংগঠিত করেছেন ছাত্র ও তরুণদের।
নিকলীর মানুষ জানে তাঁর অবদান। আজও কৃতজ্ঞচিত্তে তাঁরা স্মরণ করে কমরেড সেলিমকে। আমাদেরও দায়িত্ব, এই নিঃস্বার্থ সৈনিককে ইতিহাসের rightful জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া।
আমরা ভুলে যাবো না। ভুলা মানে অকৃতজ্ঞ হওয়া।
স্বশ্রদ্ধ সালাম, কমরেড সাজেদুল ইসলাম সেলিম।