মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢলে উৎসবের আমেজে জমে উঠেছে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের কালুখালী ‘হাতিরঝিল’ খ্যাত পর্যটন এলাকা।
দুর দৃশ্যের ছবিতে দেখা যাচ্ছে—দুই পাশে সবুজ ফসলের ক্ষেতের মাঝে চলে গেছে একটি পাঁকা পথ, যেখানে বিকেলবেলা হাঁটছেন, ঘুরে বেড়াচ্ছেন শত শত মানুষ। কেউ কেউ কোমলমতি শিশুদের নিয়ে এসেছেন, কেউ বা দম্পতি কিংবা কেউ বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। পথের ধারে রঙিন ছাতার নিচে বসেছে ঘরের তৈরি খাবারের অস্থায়ী দোকানও।
পর্যটকদের পদচারণা আর গল্প-হাঁসিতে মুখর এই এলাকা যেন প্রকৃতির কোলে এক প্রাণবন্ত মিলনমেলা। পিছনে সাজসজ্জায় সজ্জিত দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক দৃশ্য, আর সামনে স্থানীয় আতিথেয়তায় মুগ্ধ ভ্রমণপ্রেমীরা।
স্থানীয়দের ভাষায়, ঈদ এলেই এই এলাকাটি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। বিশেষ করে বিকেলবেলা আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকায়, পরিবারসহ ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়ে।
পর্যটকদের কেউ কেউ বলছেন, এটি যেন এক টুকরো শান্তিপূর্ণ স্বর্গ।
“সবুজ ফসলের ক্ষেতের মাঝ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার অনুভূতি, সামনে ঝুলন্ত ব্রীজের স্নিগ্ধতা, সব মিলিয়ে মন ছুঁয়ে যায়,” বলেন এক পর্যটক।
মোঃ সাঈদুর রহমান নামের একজন ঘুরতে আসা পর্যটক বলেন, “আমি একজন গার্মেন্টস কর্মী। ঈদের ছুটিতে বাড়ীতে এসে এখানে স্ত্রী’কে সাথে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এখানকার দৃশ্য ও আশপাশে পরিবেশ অনেক ভালো লেগেছে। তবে আরকিছু স্পর্ট তৈরি করলে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা যাবে।”
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সদ্যবিবাহিত এক নারী বলেন, “আমার বাবার বাড়ী পাশের জেলায়। আমার সম্প্রতি দেড়মাস আগে পাশের একটি গ্রামে বিয়ে হয়েছে। স্বামী চাকরিজীবী। তিনি ঈদের ছুটিতে এসেছেন। আমরা দু’জনেই এখানে ঘারতে এসেছি। অনেক সুন্দর লাগছে। আমি স্থাণীয় প্রশাসনের নিকট আবেদন করবো এখানে আরো নতুন কিছু তৈরি করা হলে পর্যটক আকৃষ্টের সাথে সাথে এলাকার অনেকের আয়রোজগার বাড়বে।”
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া আফরোজ বলেন, কালুখালীর হাতিরঝিল খ্যাত এলাকাটির অধিকাংশ জমির মালিকানা বিভিন্ন ব্যক্তি নামে ও সরকারি অন্য কর্তৃপক্ষের। এক্ষেত্রে এই এলাকাটাকে পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায় কিনা এবং আমরা যাচাই বাছাই করে দেখবো। আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু করার সুযোগ থাকলে অবশ্যই করবো।