ফটিকছড়ির প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা হালদা নদী থেকে অবৈধ ভাবে নৌকা ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার সময় উত্তোলনকারিদের ধাওয়া করলেন এলাকাবাসী। ধাওয়া খেয়ে নৌকা ফেলে পালিয়ে যান বালু উত্তোলন কারিরা।
১৩ জুন শুক্রবার সকালে উপজেলা সুন্দরপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড একখুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানা দীর্ঘদিন ধরে হালদা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু তুলে যাচ্ছে এলাকার একটি চক্র। তারা দেদারসে বালু উত্তোলন কারণে এলাকার মসজিদ, করস্হান রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে হালদা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসালে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন নিয়ে যায় উপজেলা প্রশাসন।সম্প্রতি ঐস্হানে বালুখেকো চক্রটি আরেকটি ড্রেজার মেশিন বসাতে চাইলে এলাকাবাসী
এতে বাধা দেয়। এসময় এলাকাবাসী ড্রেজার মেশিনটি তুলে আনার সময় বালু উত্তোলন কারিদের সাথে এলাকাবাসীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে ফটিকছড়ি ও ভুজপুর থানার পুলিশের দুইটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নামপ্রকাশ অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান এর আগে ও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার করণে নদীর ভাঙ্গন আমাদের বসঘর,মসজিদ করস্হান ও রাস্তাঘাট হারিয়েছি। এখনো আবার বালু উত্তোলন করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।তাদের কারণে আমাদের সব কিছু হারিয়ে যাচ্ছে।
ঘটনাস্থলে থাকা স্হানীয় ইউপি সদস্য মোঃ বেলাল উদ্দিন সুমন বলেন তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার সময় এলাকাবাসী তাদের ড্রেজার মেশিনটি জদ্ধ করে।আমরা জানি হালদা নদী থেকে বালু তুলা নিষিদ্ধ। বালু উত্তোলনের কারণে একখুলিয়া গ্রামের ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। মসজিদ, মাদ্রাসা কবরস্থান বসতবাড়ী হারিয়েছেন।অনেক মানুষ গ্রাম ছাড়া হয়েছে।
উল্লেখ্য বিগত পতিত আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে দলিয় পরিচয় নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আওয়ামিলীগ যুবলীগের কয়েকটি সিন্ডিকেট মিলে। ৫ আগস্টের পর সরকার পটপরিবর্তন হলে জামাত -বি এন,পির রাজনৈতিক দাপট দেখিয়ে আবারও অবৈধ ভাবে হালদা নদীর সুন্দরপুর ও সুয়াবিল এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে চর, বালি, মাটি উত্তোলন করে চলছে কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র।