মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের আওতায় পরিচালিত একটি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি সৃষ্টি হয়েছে তীব্র বিতর্ক ও জটিলতা। শ্রীমঙ্গল উপজেলার শিমুলবাগ এলাকায় বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই বিল চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় ঠিকাদার চিরঞ্জিত দাস বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে জেলাজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।
চিরঞ্জিত দাস জানান, প্রায় ১৩ লাখ টাকার একটি প্রকল্পে কাজ বাস্তবায়নের আগে তাঁকে বিল চাওয়ার চাপ দেওয়া হয়। বিষয়টি তিনি জেলা পরিষদ ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে তুলে ধরেন। “আমি চাই প্রকল্প বাস্তবায়ন হোক স্বচ্ছভাবে, জনগণের অর্থ অপচয় নয়। কাজ না করে বিল দেওয়া আমার নীতিবোধের পরিপন্থী, বলেন তিনি।
জেলা পরিষদের নথি ঘেঁটে জানা যায়, প্রকল্পটি অনুমোদন হয়েছিল উন্নয়ন বাজেটের আওতায়। তবে কাজের অগ্রগতি না হতেই বিল অনুমোদনের অনুরোধ আসে, যা সরকারি নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ নিয়ে চিরঞ্জিত দাস একাধিকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে আপত্তি জানালেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না হওয়ায় বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে বাধ্য হন।
শুধু এই প্রকল্পই নয় একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে জেলার অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়েও। অনেক ঠিকাদার কাজ শুরুর আগেই বিল আদায়ের চেষ্টা করে থাকেন, যা প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ, ব্যাহত হয় এলাকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, “উন্নয়ন থেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জনগণ। তাই প্রকল্পের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই হবে।
চিরঞ্জিত দাসের মতো সাহসী কণ্ঠ আজ প্রশাসনের অন্দরে নৈতিক প্রশ্ন তুলেছে উন্নয়ন কি কাগজে-কলমে শেষ হবে, নাকি বাস্তবেই ছুঁয়ে যাবে মানুষের জীবন?