মোহাঃ রকিব উদ্দীন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভুমি)-এসি ল্যান্ড আঞ্জুমান সুলতানার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি ভুমি উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সদর উপজেলার ৩নং ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ৩বারের মেম্বার পরবর্তীতে সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হক মতু অভিযোগ করে বলেন, তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর এসিল্যাল্ড অফিসে তার স্ত্রীর নামে জমির খারিজ সংক্রান্ত বিষয় ও খতিয়ানে দাগের সংশোধন বিষয়ে মিস কেস দাখিল করেন পরে তিনি উক্ত বিষয়ে স্ত্রীর পক্ষে একাধিকবার যোগাযোগ করার পর তহসিলদার ও সার্ভেয়ার তার স্ত্রীর পক্ষে রিপোর্ট দিলেও বিষয়টির সমাধান না করে বর্তমান এসি ল্যান্ড আঞ্জুমান সুলতানা বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা করিয়া দিন ক্ষেপন করতে থাকেন।
পরবর্তীতে ওই অফিসের সার্ভেয়ার সাকলাইন তার কাছে একটি এসিল্যান্ডের নামে ম্যসেজ দিয়ে বলে যে, ৩০ হাজার টাকা দিলে কাজ হবে নইলে না মঞ্জুর বলেয়া গন্য হবে। এতে তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এসিল্যান্ড তার স্ত্রীর নামে চলতি বছরের ১২মার্চ খারিজের বিষয়টি না মঞ্জুুর আদেশ দেন।
পরবর্তীতে স্ত্রী মৃত্যুবরণ করায় তিনি তার নামে খারিজের আবেদন করেন। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় তিনি এসিল্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করলে তার কাছে ২৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এসময় তিনি টাকা দিতে অনিচ্ছুক হওয়ায় তার আবেদনটি স্থগিত করে রাখে । পরে গত সোমবার (১৬জুন বিকেলে) তিনি এসিল্যান্ডের সহিত দেখা করে কাজটি শেষ করার জন্য অনুরোধ করিলে তিনি তাকে অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা বলে তার অফিস স্টাফদের মাধ্যমে ধড়পাকড় করে তার অফিস রুমে পুলিশ দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে দিবে মর্মে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। ভুক্তভোগী ও তার অবস্থান থেকে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে দুর্নীতিমুক্ত, ঘুষ বাণিজ্য মুক্ত করার দাবিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি আরো জানান যে আমার মত ভুক্তভোগী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় আরো অনেক আছে সুষ্ঠু তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
এঘটনার পর তিনি ভুমি উপদেষ্টা, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এর সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন।
এব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নূরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। ঘটনাটি যাঁচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি)-এসি ল্যান্ড আঞ্জুমান সুলতানা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হয়তো অসৎ উদ্দেশ্যে বা কারও প্ররোচনায় এই অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওই ব্যক্তির কাগজপত্র সঠিক না থাকার বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে এবং সঠিক কাগজপত্র দিতে বলা হয়েছে। কাগজ ঠিক থাকলে স্বাভাবিকভাবেই খারিজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।