মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী:
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় কর্মরত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল ইসলাম একজন কর্তব্যনিষ্ঠ, দায়িত্বপরায়ণ, ন্যায়, নিষ্ঠাবান ও মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি ফরিদপুর থেকে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার অপারেশন অফিসার, পরে বরিশাল জেলার কোর্ট ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৫ আগস্টের পরে বদলি সূত্রে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসাবে যোগদান করেন। বদলি হয়ে আসার পর থেকে নানা ধরনের সামাজিক কাজের মাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানা এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে। প্রসংশনীয় হয়ে ওঠেছেন এই উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার লাখো মানুষের কাছে। বর্তমানে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের আস্থা ও ভরসার জায়গা জুরে রয়েছে ওসি রাকিবুল ইসলামের নাম।
এছাড়াও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, রাহাজানি ও মাদক কারবারীদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত দৌলতদিয়া পুড়াভিটা ও যৌনপল্লিকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করার ব্রত নিয়ে কাজ করছেন তিনি। এই পর্যন্ত তিনি ১৪৫ টিরও উপরে মাদক মামলা থানায় রেকর্ড করেছেন। উক্ত মামলায় প্রায় ১০৭ জনের উপরে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন বিভিন্ন সময়ে। এছাড়া দুটি ঈদ, কোন রকমের চাঁদাবাজি, ছিনতাই, রাহাজানি ছাড়া ঘরে ফেরা মানুষের সুষ্ঠু সুন্দরভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছেন তিনি। ৮’টি হত্যা মামলার ৮’টিই ডিটেক্ট করেছেন। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছেন ৮’টি। মানুষের মনে শান্তি ফিরে এসেছে। শুধু তাই নয়, কাজ করে যাচ্ছেন সমাজের পিছিয়ে পড়া অবহেলিত মানুষের জন্য।
বাদ পড়েনি সুশীল সমাজের ব্যক্তি সাংবাদিক’সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়ী জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের নেতৃত্বে আমি সহ আমার প্রতিটি অফিসার ফোর্স ৫ আগস্টের পর পুলিশের আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই স্বীকৃতি আমার থানার প্রতিটি সদস্যের কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতার ফসল। আমি সর্বদা চেষ্টা করেছি নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে। মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, রাহাজানি ও অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা ধরে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবো ইনশাআল্লাহ।