গজারিয়া মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে পাথর গলিয়ে চুনা তৈরির মহা উৎসবে মেতে উঠেছে মুন্সি গঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অসাধু ব্যবসা-সম্পৃক্ত কিছু কুচক্রী মহল। গজারিয়ায় অবৈধ চুনাপাথর কারখানার যেন একটি ব্যাধিতে পরিনত হয়ে গেছে। জানা যায় চুনাপাথর কারখানায় অধিক মুনা অর্জন করেছে ব্যবসায়ীরা এতে করে ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় শিল্পকারখানার গুলো বৈধ সংযোগ নিয়ে প্রতি মাসে বিভিন্ন শিল্প কারখানা গুলো নিরবিচ্ছিন্ন ও পরিমান অনুযায়ী সঠিকভাবে গ্যাস সরবরাহ পাচ্ছেন বৈধ শিল্প কারখানার মালিকরা এতে কোম্পানির ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। অনুমদন নিয়ে দেশের সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলছে দিনের পর দিন মাসের পর মাস এমনকি বছর। বুধবার (১৮ জুন /২৫)সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টানা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে তিতাসগ্যাস কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ জালালি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করেন সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে পেট্রো বাংলার উপমহাব্যবস্থাপক ও ব্যবস্থাপক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় অংশ গ্রহণ করেন। সোনারগাঁ মেঘনা শিল্পনগরী এলাকায় অবস্থিত তিতাসগ্যাস টি এন্ড ডি কোম্পানি লিমিটেড মেঘনা ঘাট জোনাল দপ্তরের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরজিত কুমার সাহা নেতৃত্বে সহকারী প্রকৌশলী হৃদয় উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ ও জহিরুল হক অফিস সহকারী ফরিদ মিয়া প্রকর্মী মিজানুর রহমান, কম্পিউটার ম্যান সাইদুল ইসলাম অফিস সহায়ক ফারুক আহমেদ। সংযোগ কর্তনকারী ওয়েল্টার সোহেল ও তার দল বিচ্ছিন্ন কাজে নিয়োজিত ছিল। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার সহযোগিতা গজারিয়া থানা পুলিশের একটি দল সার্বক্ষণিক অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি অনুকূলে রাখে । আনার পুরা অবৈধভাবে গড়ে উঠা অবৈধ গ্যাস সরবরাহ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সংযোগের মাধ্যমে প্রতি মাসে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা গ্যাস অপচয় করছে বলে জানিয়েছেন তিতাসগ্যাস কর্তৃপক্ষ। শুধু আনার পুরা নয় ভবের চর, বাউশিয়া বালুয়াকান্দি ভাটের চর এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ও সোনারগাঁও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে বহু অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে গড়ে উঠেছে ক্ষতি কর চুনাপাথর কারখানা। অভিযান শেষে চুনাকারখানার মালিক ও জমির মালিকের সহ অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে গজারিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে তিতাসগ্যাস কর্তৃপক্ষ বলে জানা যায়। আগামীতেও অভিযান চলমান থাকবে পর্যায়ক্রমে গজারিয়ায় সকল ও ঢালাই ও চুনাপাথর কারখানা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা চলমান থাকবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।