সৌভিক পোদ্দার, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
২০ জুন ২০২৫
আহতদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশু রয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক না থাকায় আহত ব্যক্তিরা বিপাকে পড়েছেন, বেড়েছে আতঙ্ক।
আহতদের মধ্যে ১২ জনকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভ্যাকসিনের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন – ঝাউদিয়া গ্রামের ইকবাল হোসেন, মারিয়া, সূর্য, গোবিন্দপুর গ্রামের সুমাইয়া, সামিউল, ইসলাম, শান্তিরাম ও কবিরপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, শাহাদত, শাহজাদা, ইবাদত হোসেন ও লামিয়া খাতুনসহ অন্তত ১৫ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকেই গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে হঠাৎ উন্মত্ত একাধিক কুকুর মানুষকে কামড়ে আহত করতে শুরু করে। রাস্তায় চলাফেরা করা শিশু, বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী, কৃষিকাজে ব্যস্ত নারীসহ সাধারণ পথচারীরাও কুকুরটির আক্রমণের শিকার হন। এতে এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু ও বয়স্ক। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড়ের গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন না থাকায় আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন না থাকায় কুকুরের কামড়ে আহত রোগীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানানো হলেও ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি। তবে কুকুড়ের আতঙ্ক বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাকসিনের জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় কুকুরটিকে আটক বা নিধন করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে কুকুড়ের আতঙ্কে এলাকাবাসী দ্রুত ওই কুকুড়গুলোকে আটক ও নিধনের দাবি জানিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, কুকুরটি জলাতঙ্কে (রেবিস) আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।