মোঃ নুর আলম পাপ্পু,খোকসা প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার সাতপাখিয়া গ্রামে জমি ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে এক বেদনাদায়ক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তি মোঃ প্রামানিক (৬৫), পিতা- মৃত আকমত প্রামানিক, স্থানীয়ভাবে একজন শান্তশিষ্ট ও পরিচিত মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক ভুল বোঝাবুঝির এক পর্যায়ে গত ২৩ জুন রাত ৯:৩০ টার দিকে দুই পরিবারের মধ্যে তর্কবিতর্ক থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে মোঃ প্রামানিক গুরুতর আহত হন। তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু পরদিন ২৪ জুন ভোর ৪:০০ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল একই গ্রামের মোঃ তরিকুল ইসলামের (৩৫) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মোছাঃ জিম খাতুন (১৮) নামের এক তরুণীর পুরনো সম্পর্ক ঘিরে। অভিযোগ রয়েছে, জিম খাতুন অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরও তরিকুল ইসলাম মন্তব্য করেন, যা নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চরমে পৌঁছায় এবং একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে আহত হন মোঃ প্রামানিক ও তার ছেলে মোঃ তরিকুল। গুরুতর আঘাতের কারণে মোঃ প্রামানিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং পরদিন তার মৃত্যু হয়।
এদিকে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগে বলা হয়,
“ঘটনার পেছনে মূল কারণ ছিল পুরনো জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ। একপক্ষ পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়।”
ঘটনার পরপরই খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও কুষ্টিয়া জেলার সার্কেল এসপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ অভিযুক্তদের খুঁজে তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়, তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং দাফনের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খোকসা থানার ওসি জানিয়েছেন,
“ঘটনার সকল দিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।