মোঃ জাবেদ আহমেদ জীবন
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরায় গত ৪ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৮ টায় এক নারী ৩ জন ধারায় ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি মামলা করেছেন ঐ নারী , যার তদন্তে আছে নবীনগর থানা পুলিশ।
ওক্ত নির্যাতনের বিষয় টি নিয়ে গতকয়েকদিন যাবত দেশের প্রথম সারির প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হচ্ছে।
এতে উঠে এসেছে স্হানীয় বিএনপি নেতা হাজী আবু কাউসার সহ, মোছা মিয়া, কামাল ও হৃদয়ের নাম।
এ সময় নির্যাতিত নারী গোপন স্থান থেকে অডিও বার্তায় জানান সে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন যার কারণে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আছেন, এলাকায় আসলে বিবাদী পক্ষের লোকজন সহ স্হানীয় বিএনপি নেতার রোষানলে পরে জীবন হারাতে পারেন।
১৬ এপ্রিল সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় নির্যাতিত নারী বাদীর বিপক্ষে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক স্লোগান দিচ্ছেন লোকজন,সাথে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় মামলার ১ নং বিবাদী মোছা কে ও।
এ বিষয় জানতে এলাকার কয়েকজন পাড়া প্রতিবেশি কে জিজ্ঞেস করলে উনারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মোছার সাথে ঐ নারীর সম্পর্ক ছিলো, মোছা ঐ নারী কে নিয়ে প্রথমে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করলে ও পরে নিজের শালিকা পরিচয়ে বসবাস করতেন তিনি ছিলেন একসময় তার গার্ডিয়ান।
গেলো কিছুদিন আগে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তা কি সত্য এমন টা জানতে চাইলে,তার জবাবে উনারা জানান হ্যা হয়েছে।
এ নিয়ে স্হানীয় যুবদল নেতা হাজী কাউসার এর নেতৃত্বে একটি সভা হয়েছে তাতে বিবাদীদের কাছ থেকে টাকার লেনদেন হয়েছে বলে ও জানান পাড়া প্রতিবেশিরা।
এ বিষয় জানতে নির্যাতিত নারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে,পরে অজ্ঞাত স্থান থেকে মোবাইলের মাধ্যমে তিনি জানান,মূলত তার জায়গা জমি ও তাকে এলাকা ছাড়া করতে মোছা ও কয়েকজন প্রভাশালী মহল তার পিছনে লেগেছে, আমি আমার নির্যাতনের বিচার পাইনি উল্টো আমাকে বিএনপি নেতা কাউসার হুমকি ধমকি দিচ্ছেন,নিয়েছেন আমার কাছ থেকে স্টাম্পে স্বাক্ষর। কাউসার আমাকে দিয়ে মামলা করিয়েছেন এখন মোছার সাথে হাত মিলিয়ে আমাকে এলাকা ছাড়া করার চেষ্টা করছেন মামলা তোলে ফেলতে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন, আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি এরা আমাকে পেলে মেরে ফেলবে।
এ বিষয় এ নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান আমরা বিষয় টি খতিয়ে দেখছি তদন্ত চলমান।
যুবদলের সদস্য সচিব হাজী কাউসার জানান আমার নামে আনিত অভিযোগ সঠিক নই।
এ বিষয় অভিযুক্ত মোছা মিয়া জানান, আমাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।