হাকিমপুর, দিনাজপুর প্রতিনিধি।
দেশে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রনে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে কৃষি মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। হিলি স্হলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের পক্ষ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে এই লিখিত আবেদন করা হয়। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশে পেঁয়াজের দাম ৩০টাকায় নেমে আসবে দাবী আমদানিকারকদের।
হিলি স্হলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক নাজমুল হক বলেন,সম্প্রতি দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম উদ্ধমুখি হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫টাকার পেঁয়াজ দাম বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ৫৫টাকায় গিয়ে দাড়িয়েছে। এছাড়া সামনে আসছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। সে সময়ে আমাদের দেশে পর্যাপ্ত পরিমানে পেঁয়াজের চাহিদা থাকে। বর্তমানে দেশে যে পরিমানে পেঁয়াজ রয়েছে তা দিয়ে সেই চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। যেহেতু এখনই পেঁয়াজের দাম উদ্ধমুখি হয়েছে তাই সামনের দিনে পেঁয়াজের দাম আরো বাড়তে পারে। বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে আমদানির অনুমতি না থাকায় পেঁয়াজ আমদানি সম্ভব হচ্ছেনা। তাই দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন। এতে করে সরবরাহ বাড়ার সাথে সাথে দাম নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে বলেও দাবী করেন তিনি।
পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়েছে,আমাদের দেশ আমদানি নির্ভরশীল একটি দেশ। আমদানি ব্যাতিত আমাদের দেশে খাদ্য দ্রব্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়। তাই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) ইস্যু না করলে দেশে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুন হারে বেড়ে যাবে। সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাবে পেঁয়াজের দাম।