নুরুল আবছার নূরী
সেমুতাং গ্যাসক্ষেত্রটির পাইপ লাইন ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়নহাট, ভূজপুর, হারুয়ালছড়ি ও সুয়াবিল ইউনিয়নের উপর দিয়ে চলে গেছে জাতীয় গ্রেডে। এদিকে ফটিকছরি বাসীর স্বপ্ন স্বপ্ন থেকে গেল, কবে মিলবে গ্যাস সংযোগ। অথচ ফটিকছড়ি গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল বিশাল একটি উপজেলা। এতে রয়েছে চা বাগান, রাবার বাগান, কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ জনবহুল মানুষের বসত ঘর । ফটিকছড়িতে গ্যাস সংযোগ পেলে অল্প খরচে চা ও রবার শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি হবে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে।
স্থানীয়রা বলেন, ফটিকছড়ি দিয়ে গ্যাসে পাইপ লাইন চলে যায় কিন্তু ফটিকছড়ির মানুষ গ্যাস পাই না, আমাদের ফসলের জমির নিচে দিয়ে গ্যাসের পাইপ লাইন গেছে, আমরা গ্যাস পাই না। বাজার থেকে চড়া মূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার ক্রয় করতে হয়। বনাঞ্চল উজাড় করে বনের কাঠ জ্বালিয়ে রান্না বান্না করতে হয়। কৃষি জমির নিচ দিয়ে পাইপ লাইন যাওয়ার সময় সেমুতাং গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানাইছেন আপনাদের গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে পয়েন্ট রাখা হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও গ্যাস সংযোগ মেলেনি ফটিকছড়িবাসীর কপালে। গ্যাসের দাবিতে বিভিন্ন সময় মানববন্ধন সমাবেশ মিটিং হলেও কে শুনে কার কথা। স্বপ্নই স্বপ্ন থেকে গেল, গ্যাস পাওয়ার যাদের অধিকার তারা পায় না।
এক গৃহিণী বলেন, লাকড়ি ও সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এতে আমার মত মধ্য ও নিম্নবিত্তরা ভোগান্তিতে পড়েছে।
চা ও রাবার বাগানের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, চা ও রবার বাগানে গ্যাস সংযোগ পেলে অল্প খরচে উৎপাদন বৃদ্ধি হবে, সময় কম লাগবে। বিদ্যুতের ব্যবহার কমে যাবে। বাগানের শ্রমিকসহ ফটিকছড়ি জনসাধারণের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে।
এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান, দেশরত্ন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডা ইউনুস সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ফটিকছড়ির সর্বসাধারণ মানুষ ।
উল্লেখ্য, সেমুতাং গ্যাসক্ষেত্র খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় অবস্থিত একটি গ্যাসক্ষেত্র।