ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২২ মে ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কর্মস্থল এক, দায়িত্ব অন্যত্র – প্রশ্নের মুখে মৌলভীবাজার স্বাস্থ্য বিভাগ

Link Copied!

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :

রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত চম্পা দেবী বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, তবে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে তাকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মামুনুর রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চম্পা দেবী বিভাগজুড়ে একধরনের ‘অঘোষিত বিশেষ সুবিধাভোগী’তে পরিণত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের অভ্যন্তরে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ চম্পা দেবীকে রাজনগর উপজেলা থেকে বদলি করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তবে এই বদলির আদেশ মাত্র ৬ দিনের মাথায়, অর্থাৎ ২৪ মার্চ তা স্থগিত করা হয়। এর পরপরই তাকে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেষণে পদায়ন করা হয়। যদিও সরকারি নথিতে তার কর্মস্থল বদলানো হয়েছে, বাস্তবে তিনি উভয় জায়গায়ই কার্যত অনুপস্থিত।

অভিযোগ রয়েছে, চম্পা দেবী মূলত সিভিল সার্জনের নিকটতম সহকর্মী হিসেবে বিভিন্ন স্থানে ভিজিটের সময় তার সঙ্গে যান এবং ব্যক্তিগত ও দপ্তরীয় কাজে অংশ নেন। স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এসব অনিয়মের ফলে অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও হতাশা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে চম্পা দেবীর পদোন্নতি হওয়ায় সেই ক্ষোভ আরও বাড়ছে।

এই বিষয়ে চম্পা দেবীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, “প্রায় এক মাস ধরে সিভিল সার্জনের অফিসে যাচ্ছি, তবে আমার কোনো নির্দিষ্ট দায়িত্ব নেই। প্রতিটি সেকশনের আলাদা আলাদা কাজ থাকে।”

অন্যদিকে, সিভিল সার্জন ডা. মো. মামুনুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, “চাপ সামাল দিতে সাময়িক সময়ের জন্য তাকে অফিসে এনেছিলাম। বর্তমানে সে তার আগের কর্মস্থলে ফিরে গেছে।”

তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। প্রশ্ন উঠেছে—প্রেষণ কি প্রভাবের জোরেই, নাকি প্রশাসনিক গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে বিশেষ সম্পর্কের ভিত্তিতে কেউ এমন সুবিধা পাচ্ছেন? স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে স্বাস্থ্য বিভাগের এমন চিত্র জনমনে উদ্বেগ তৈরি করছে।