ঢাকাশনিবার , ২১ জুন ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজবাড়ীতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ ঘরের জন্য  টাকা না পেলে কৃষকদের আবেদন ফেরতের অভিযোগ

মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
জুন ২১, ২০২৫ ৩:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ আমিরুল হক,রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

রাজবাড়ী জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কার্যালয়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণ ঘরের জন্য আবেদনে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ স্বহস্তে আবেদন চাওয়া হলেও অফিসে আসা কৃষকদেরকে আবেদনপত্রের সাথে টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। টাকা না দিলে তিনি আবেদনপত্র রাখেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে।

গত ১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) আবেদনপত্র জমার শেষ দিন ছিল। আবেদনের বাতিলের ভয়ে নিরুপায় হয়ে কৃষকরা কাগপজত্রের সাথে ২০০-৩০০ টাকা টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের দেয়া গণবিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মে, ২০২৫ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর আওতায় ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে কয়েকটি জেলাসহ রাজবাড়ী জেলার কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলার ২৫ ফুট-১৫ ফুট বিশিষ্ঠ মডেল ঘর বাঁশ, কাঠ, টিন ও আরসিসি পিলার দ্বারা তৈরি ঘর নির্মাণ করা হবে। মডেল ঘর পেতে আগ্রহী পেঁয়াজ ও রসুন চাষীগণকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ২ কপি ছবি ও জমির পর্চা, স্বহস্তে লিখিত আবেদন জেলা বিপণন কার্যালয়ে ১৯ জুন, ২০২৫ তারিখের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়।

গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি উপজেলা ও কালুখালী উপজেলার শতাধিক মডেল ঘরের জন্য আবেদন জমা দেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আবেদন জমার সাথে ২০০-৩০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে তাদের।
অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে একটি আবেদনের কপি নিয়ে জেলা বিপণন অফিসে গেলে আবেদন পত্রটি জমা দেওয়ার সময় তার কাছ থেকে ২০০ টাকা চান এক কর্মচারী। পরে তিনি ২০০ টাকা আবেদনপত্রের সাথে জমা দিয়ে আসেন।

এরপর প্রায় দুই ঘণ্টা ওই কার্যালয় ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করে একাধিক কৃষকের সাথে কথা হয়। বালিয়াকান্দি উপজেলার সোনাপুর গ্রামের এক কৃষক পেঁয়াজ সংরক্ষণ ঘরের জন্য একটি আবেদনপত্র জমা দিতে আসেন। পরে তার কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে ৩০০ টাকা দাবি করেন অফিস সহায়ক মোঃ এনামুল হক।
ওই কৃষক বলেন, ‘আমি পেঁয়াজ সংরক্ষণের ঘরের জন্য একটি আবেদনপত্র জমা দিতে এসেছিলাম। আমার কাছে তিনশ টাকা চেয়েছিল। প্রথমে আমি আবেদন জমা না দিয়ে নিচে এসে আমার ছেলের সঙ্গে কথা বলে পরে আবেদনপত্র জমা দেই। সাথে ২০০ টাকা দেওয়া লাগছে। ‘এ টাকার কোন রশিদ দেয়নি। ফটোকপিটপি করা লাগবে বলে এ টাকা নিয়েছে।’

একাধিক কৃষক বলেন, আবেদনপত্র জমা নিতে ২০০-৩০০ টাকা নিচ্ছে। আমরা কৃষক। খুব একটা বুঝি না। টাকা চেয়েছে। আমরা দিয়ে দিয়েছি। আমরা অত কিছু জানি না।

ধারণকৃত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক কৃষক তার আবেদনপত্রটি অফিস সহায়ক এনামুল হকের কাছে জমা দিয়েছেন। এনামুল হক আবেদনপত্রটি একটি রেজিস্ট্রি খাতায় তথ্য লিপিবদ্ধ করছেন। এসময় ওই কৃষক তার পরিধান করা পাঞ্জাবির পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে হাতের ভেতর রেখেছেন। খাতায় লিপিবদ্ধ করা শেষ হলে হাত পেতে ওই কৃষকের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন অফিস সহায়ক এনামুল হক। আরেকটি ভিডিওতে আরেক কৃষককের কাছ থেকেও টাকা নিতে দেখা যায়।

রাজবাড়ী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা নাঈম আহম্মেদ বলেন, এখানে অনেকেই আবেদনপত্র জমা দিতে আসেন। অফিসের লোকজন দিয়ে অনেকেই আবেদনপত্র লেখাচ্ছেন। এজন্য হয়তো তাদের দু’ একশো টাকা দিচ্ছে। তারপর বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যদি কেউ এ ধরণের কাজ করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।