নুরুল আবছার নূরী
চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলা ভুজপুর থানার নারায়নহাট নেপচুন চা-বাগানের কঠিন বাস্তবতার মাঝে আলো জ্বালিয়ে চলছেন রবি কুমার ত্রিপুরা।চা-শ্রমিক বর্বধন ত্রিপুরা ও বিনক্তি ত্রিপুরার দম্পতির এই সন্তান শত প্রতিকুলতা ডিঙিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন সম্প্রিতি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “খ” ইউনিটে ১৭৯৬ তম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে “খ” ইউনিটে ১৩২ তম এবং “ঘ” ইউনিটে ৩১৯ তম স্হানে উত্তির্ন হয়েও উচ্শ শিক্ষার দ্বারপ্রাণ্ত পৌছেছেন।
কিন্তু এই অসমান্য সফল্য রবি’র পরিবারের আনন্দ বয়ে আনলেও তা স্হায়ী হচ্ছে না।ভর্তির সনয় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে দরিদ্র চা-শ্রমিক বাবা-মায়ের কপালে ভাজ পড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ও পড়াশোনা বিপুল খরচ যোগানোর সামর্থ্য নেই তাদের। রবি’র স্বপ্ন পুরানেরব সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পারিবারিক দারিদ্রতা।
নেপচুন চা-বাগানের ছোট্ট ঘরে বেড়ে উঠা রবি কুমার ত্রিপুরা জানান ছোট বেলা থেকে পড়াশোনার প্রতি তার ছিল অদম্য আগ্রহ শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং তার নিজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা তিনি প্রতিটী পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করেছেন।
টাকার অভাবে কখনো কোন কুচিংসেন্টারে পড়াশোনা করতে পারেননি।সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন রবি স্বপ্ন দেখেন উচ্চ শিক্ষা লাভ করে তিনি একজন আর্দশ বিচারক হবেন এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রাখবেন।
তিনি দেশের বিত্তবানদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন আর্থিক সংকটের কারণে তার শিক্ষার আলো নিভিয়ে না যায়।
রবি’র বাবা বর্বধন ত্রিপুরা বলেন অনেক কষ্ট করে ছেলেটাকে এতদূর এনেছি। বাগানের সবাই ছেলের সাফল্য খুশি। কিন্তু আমি দূচিন্তায় আছি। শ্রমিকের সমান্য আয়ে সংসার ঠিক মত চলে না। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আর লেখাপড়ার খরচ চলানো আমার পক্ষে অসম্ভব। মেধাবী আমরা চাই সেই লেখা পড়া করে অনেক বড় হোক। কিন্তু আমাদের ইচ্ছা থাকলে সামর্থ্য নাই। আপনারা কি আমার ছেলে সেই স্বপ্ন পুরান করতে দেবেন।
নেপচুন চা-বাগান ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্হাপন মোঃ রিয়াজ উদ্দিন বলেন রবি আমাদের বাগানের গর্ব তার সাফল্যে আমরা সবাই বিস্মিত এবং আনন্দিত ।আমি আশা করি সমাজের হৃদবাব ব্যক্তিরা রবি’র সহায়তায় এগিয়ে আসবেন। যাতে তার স্বপ্ন পুরানে বাধা না থাকে। বিষয়টি জানতে পরে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন রবি’র সাফল্য আমরা বিস্মিত প্রকাশ করে একে অত্যন্ত প্রশংসনিয় বলে অবহিত করেছেন। তিনি আরও বলেন চা-বাগানের মত পরিবেশে সত্যিয় বিরল। এবং অন্যদের জন্য অন্যদের জন্য অনুসরঠি।রবি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে যেতে চলিয়ে যেতে পারে উপজেলা প্রশাসন থেকে আমরা সেই ব্যবস্হা গ্রহণ করে যাব।