নুরুল আবছার নূরী
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা পাইন্দং ইউনিয়নে রহমতিয়া সড়কের বেহাল দশা সইতে পারছেনা স্হানীয়রা। উপজেলা ধূরুং নদী থেকে অবৈধ ভাবে উত্তোলন করা বালু এবং ফসিল জমি মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার ভারী অবাধে চলাচলে বেড়াজালী-শেতকূয়া (রহমতিয়া) সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে এবং সড়কটি সংষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করে স্হানীয়রা। ১৮ এপ্রিল শুকবার বিক্ষোদ্ধ হাজার হাজার নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে আসেন।তৈয়ার করন মানববন্ধন। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপি চলা মানববন্ধন কর্মসূচিতে এলাকার জনগণ ক্ষোভ ছিল স্পষ্ট। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহ আবুল কালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মহসিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন বক্ততারা বলেন স্হানীয় কিছু প্রবাশালী ব্যক্তি যারা বি,এন,পি জামাতের নামধারি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেন তার প্রতিদিন শত শত ড্রাম ট্রাক ও জিপ (চাদেঁর) গাড়ি দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি পরিবহন করেছেন।এই ভার পরিবহনের চাপে সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। সাম্প্রতিক বৃষ্টির কারণে সড়কটি ক্ষতিগুলো আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। সৃষ্টি হয়েছে চরম জনদূর্ভোগ।ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা আরও বলেন শুধু সড়কই নয় ধ্বংস হচ্ছে কৃষি জমিগুলো। ফসিল জমির উপরিভাগ উর্বর মাটির (টপসয়েল) কেটে নেওয়া জমি হারাচ্ছে তার প্রাণ।সামনে বর্ষার মৌসুমে ধূরুং নদীর ভাঙ্গনের ফলে বসতভিটা হারানোর শংন্কা করছে তারা।এলাকা বাসির অভিযোগ এই অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ কারি মোঃ আবদুল জলিল, মোঃ বাদশা আলম ব্যাংকার মোঃ ওয়াহিদ চৌধুরী, পাইন্দং ইউনিয়নে ছাত্র দলের সভাপতি মোঃ বাবর আলী, নারীনেতৃ শাহানা আক্তার, মনাখাতুন, মনি আকতারসহ আরো অনেকই। তারা বলেন এই সড়কে অবৈধ বালু ও মাটি পরিবহন বন্ধ করে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি জরুরি ভিত্তিতে সংষ্কার করার জোর দাবি জানানো হয়।
এই বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন সড়কটি বেহাল দশা নিয়ে এর আগে ও একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। আজকের মানববন্ধনে স্থানীয়দের দাবি গুলো আরো জোরালো ভাবে উঠে এসেছে। আমি বিষয়টি গুরুত্ব ভাবে দেখছি এবং দ্রুত সরজমিনে পরিদর্শন করেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করব।