নুরুল আবছার নূরী
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা ভুজপুর থানার বাগানবাজার এলাকায় জাল সনদ দিয়ে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে বাচাঁনোর জন্য এই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।
জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছ বাগানবাজার ইউনিয়নের সচিব মোঃ বখতিয়ার উদ্দিনসহ একটি জালিয়াতির চক্র।অতিতে এই জালিয়াতি চক্ররের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হলেও থেমে নেই এই চক্রটি।
গত ১৯ এপ্রিল ৫ বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টার কাউসার হোসেন (১৯) নামের এক যুবকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত কাউসার হোসেন একই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের হলুদিয়া এলাকার মৃত মোঃ মুখলেছুর রহমানের ছেলে।
আটক হওয়ার পর জালিয়াতি করে একই ব্যক্তির ২টি জম্ম নিবন্ধন সনদ। নতুন জম্ম নিবন্ধন সনদ করে করা হয় জামিনের আবেদন। সেই দুইরি জম্ম নিবন্ধন সনদসহ কয়েকটি নতিপত্র আসে এই প্রতিবেদকের হাতে। এসব নথিপত্র গেটে দেখা যায় আটককৃত কাউসার হোসেনর মুলত জম্ম ২০০৫ সালের ১৫ অক্টোবর। ভূয়া জম্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে তাকে বানানো হয় ১৬ বছরের কিশোর। বিষয়টি জানানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি পাশাপাশি স্হানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
প্রতিবেদকের হাতে আসা নতিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়।কাউসার হোসেন, পিতা মুখলেসুর রহমান,মাতা শাহার বানু মূলে ১৫ অক্টোবর ২০০৫ সালে জম্ম নিবন্ধন সনদ দেখিয়ে ২০০৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী বাগানবাজার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জম্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করে সেই। সে জম্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী তার বয়স হয় ১৯ বছর ৬ মাস।আটক হওয়ার পর কারচুপির মাধ্যমে চলতি বছরের গত মাসে২৪ পিতার স্হলে মোঃ মুখলেস মিয়া ও শার বানু বেগমকে মাতা দেখিয়ে আর একটি জম্ম নিবন্ধন সনদ তৈয়রি করে তার পরিবার।সেই সনদটি তৈরি করা হয় বিপুল পরিমাণ টাকা খরচও জালিয়াতি মাধ্যমে।
অনুসন্ধানে জানা যায় ভূয়া জম্ম নিবন্ধন সনদটি তৈরি করতে স্হানীয় ইউপি সচিবসহ একটি চক্র এ কাজ করে। সেখানে তৈরি হয় বিপুল পরিমাণ অর্থের। যার সততা মিলে ইউপি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন ও আবুল কাশেমর কথায়।
স্হানীয় দোকানী রুবেলের কম্পিউটার থেকে নতুন এই সনদটি আবেদন করে ধর্ষণ মামলায় আটককৃত কাউসার হোসেন ভাই মোঃ আলামিন। পরবর্তী তথ্য গোপন করে স্হানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিনের নিকট থেকে স্বাক্ষর করে নিয় জম্ম সনদটি তৈরি করেন ইউপি সচিব মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন।
ইউপি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন তথ্য গোপন করে তার ভাই আলামিন আমার নিকট থেকে আবেদন ফরমে স্বাক্ষর নেয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের নথিপত্র দেখে জানতে পারি তার আর একটি জম্ম নিবন্ধন সনদ রয়েছে। বিষয়টিতে দঃক্ষওত হয়েছি।এই বিষয়ে তার ভাই আলামিনকে একাধিকবার ফোন করে পাওয়া যায়নি।
বাগাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন দু’টি জম্ম নিবন্ধন সনদ কথা স্বীকার করে বলেন প্রতিদিন এ রকম অনেক ডকুমেন্টস পরিষদে আসে। এত কিছু যাচাই-বাছাই করার সময় কই।অফিসের নির্ধারিত ফি নিয়ে তার কাজটি করে দিয়েছি।
বাগানবাজার ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার আলী নুর মিয়াজী বলেন এ বিষয়ে আমরা জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।