ওবাইদুল্লাহ আল মাহবুব, ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ইসমাইল আল জাযারি বিজ্ঞান উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১ মে বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উৎসবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, আল হাদিস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এইচ এম আবু মূসা এবং কেন্দ্রীয় কলেজ ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক শহীদুল ইসলাম।
দুই দিনব্যাপী উৎসবে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, রোবটিক্স কিউব প্রতিযোগিতা ও প্রজেক্ট প্রদর্শনী ও প্রজেক্ট অ্যান্ড পোস্টার প্রেজেন্টেশনের আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রথম দশ জন প্রতিযোগীকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, লালন কলা ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিবগাতুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশে মেধাবীদের নিয়ে এরকম আয়োজন খুবই কম। একটি দেশে কাকে নিয়ে সেলিব্রেশন করা হচ্ছে এটা যদি আমরা দেখি তাহলে বুঝতে পারবো দেশের অগ্রগতি। আমাদের এরকম আয়োজন সেলিব্রেশন করা। এরকম উদ্ভাবন দেশের ভ্যালু অ্যাড করে। এইসব প্রোগ্রাম সকালের সামনে তুলে ধরলে অন্যরা উদ্বুদ্ধ হয়। মুসলমানরা যতদিন ইসলামের সাথে ছিল ততোদিন তারা বিশ্বের জ্ঞান বিজ্ঞানের নেতৃত্ব দিয়েছে। বর্তমানে বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের একটা পার্থক্য তৈরি করা হয়েছে। ধর্ম এবং বিজ্ঞান আলাদা কোনো বিষয় নয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেশে একটা পরিবর্তন চেয়েছিলাম। আমরা দেখছিলাম দেশে মেধার মূল্যায়ন হচ্ছে না, সব কোটার ভিত্তিতে হচ্ছে। তাই জুলাই আন্দোলনে দেশের সবাই নেমে এসেছিল। ছাত্র জনতার আন্দোলনে একটা বিজয় সংগঠিত হলো। দেশ নিয়ে আমাদের অনেক বড় প্রত্যাশা ছিল। তরুণরা দেশের পরিচালনায় গেছে। তাই সরাকারের কাছে দাবি আপনারা তরুণদের জন্য এগিয়ে আসুন। তাদের জন্য ভালো কাজ করুন। আমরা আগস্টে তাঁবেদার স্বৈরাচার শাসককে পরাজিত করছি। কিন্তু আমরা জুলাইয়ের চেতনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
ইবি শাখা সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আজকের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য আমাদের যে প্রতিভা আছে তা দেশের সামনে উপস্থাপন করা। এর মাধ্যমে দেশের তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং রাষ্ট্র তাদের সহযোগিতা করলে তারা আরো এগিয়ে যাবে। দেশের কল্যাণে তারা কাজ করতে পারবে