ঢাকাসোমবার , ৩০ জুন ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মেঘনা নদীতে অবৈধ ভাবে চাঁদাবাজি সঙ্গে জড়িত সোনারগাঁ বিএনপি সভাপতি ও যুবলীগের নেতা পলিথিন জাকির

মোঃ আমির হোসেন, সোনারগাঁও প্রতিনিধি
জুন ৩০, ২০২৫ ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নারায়ণগঞ্জ সংবাদ দাতা:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের শীর্ষ দুই নেতা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় সুবাদে বর্তমান উপজেলা বিএনপি সভাপতি আজারুল ইসলাম মান্নান সংসদ সদস্য প্রার্থী ও আওয়ামী যুবলীগের পিরোজপুর ইউনিয়নের সভাপতি পলিথিন জাকিরের উভয়ের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা।

নারায়ণগঞ্জের নৌ-পথে চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের দুই মুখ,যুবলীগ নেতা জাকির ও যুবদল নেতা সজিব।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীসংলগ্ন নৌপথে প্রতিদিন কোটি টাকার মালামাল পরিবহন হলেও নদীপথ নিরাপদ নয়। বরং নৌযান গুলোকে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে চলতে হয় এক প্রভাবশালী সিন্ডিকেটকে,যার নেতৃত্বে রয়েছেন জেলার আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তি বিএনপির যুবদল নেতা খাইরুল ইসলাম সজিব পিতা আজারুল ইসলাম মান্নান সভাপতি বিএনপি ধ্বংসকারী লুটপাট কারী জুলুমবাজ জায়গার জমিন দখল কারী।
অভিযোগ রয়েছে,স্থানীয় যুবলীগ ও এক যুবদল নেতার তত্বাবধানে প্রতিদিন নৌযান থেকে আদায়কৃত অর্থের ৪০ শতাংশ ভাগ পান স্থানীয় যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত পলিথিন জাকির। পলিথিন জাকিরের উত্থান আওয়ামীলী যুবলীগ সোনারগাঁ উপজেলার নেতা রফিকুল ইসলাম নান্নুর হাতের ছোঁয়া বিভিন্ন অপলক অপ্রকাশিত অপকর্মে জড়িত। আর বাকি ৬০ শতাংশ ভাগের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের পুত্র ও জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজিবের হাতে। এছাড়াও প্রশাসনের যেকোন ঝামেলা মোকাবেলার জন্য সজিব’র ঘনিষ্ঠ তিনজন স্থানীয় সাংবাদিক দায়িত্ব পান,বিনিময়ে তারা প্রতিদিন গড়ে ৬ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে সোনারগাঁ ও আশপাশের এলাকায় একজন প্রভাবশালী সংগঠক হিসেবে পরিচিত খাইরুল ইসলাম সজিব রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন সক্রিয়,তেমনি বিভিন্ন সময় তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও উঠেছে। একদিকে রাজনৈতিক মামলার শিকার,অন্যদিকে চাঁদাবাজি ও নদীপথে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ,তাঁকে নিয়ে জনমনে এখন প্রশ্ন উঠছে।

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে,মেঘনা নদীপথে চলাচলকারী নৌযানগুলোকে নির্ধারিত হারে চাঁদা না দিলে বাধা ও হয়রানির মুখে পড়তে হয়। এই অবৈধ অর্থ সংগ্রহের একটি সংগঠিত চক্র দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কাজ করছে। এই চক্রের প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে,সজিবকে ঘিরে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। চাঁদাবাজির বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে সোনারগাঁ থানার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে,বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে,গত ২২ জুন কিশোর গঞ্জ জেলা ভৈর ব ছলিমগঞ্জ এলাকায় মেঘনা নদীপথে চাঁদাবাজির সময়,নৌ-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করে।যার মধ্যে সজিবের সিন্ডিকেট সদস্য বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা। এদের বেশিরভাগই বিএনপির অঙ্গসংগঠনের কর্মী এবং যুবদল নেতা সজিবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে জানা গেছে। বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া এলাকার সন্ত্রাসী যুবদলের সোহাগ মান্নানের ছেলের ঘনিষ্ঠ জন ট
রয়েছে।সেখানে কালবেলার সোনারগাঁ প্রতিনিধি রুবেলকে ও গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে। যদিও লোক মুখ শোনা যায় সোনারগাঁও প্রেসক্লাবে
সদস্য দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন রিপোর্টার এবং মাজহারুল ইসলাম
নদীপথে নিরাপদ ও চাঁদামুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সচেতন নাগরিকরা।