মোঃ জাবেদ আহমেদ জীবন নবীনগর উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের সেলিমনগরে তিতাস নদীতে কচুরিপানা পরিষ্কার করতে গিয়ে বাবা-ছেলে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয়দের তৎপরতায় ছেলে একরাম খাঁ (২২)কে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও তার বাবা সিদ্দিক খাঁ (৫০) এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে সিদ্দিক খাঁ ও তার ছেলে একরাম খাঁ নিজেদের জমিতে কাজ করতে নদীতে নামেন। হঠাৎ প্রবল স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজনেই ভেসে যান। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে আকরাম খাঁকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন। কিন্তু তার বাবা সিদ্দিক খাঁ নদীতে তলিয়ে যায়।
খবর পেয়ে বিদ্যাকুট ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইব্রাহিম নবীনগর ফায়ার সার্ভিসকে জানান। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সকাল ১০টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা তল্লাশি চালায়। পরে ভৈরবের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়।
তবে বিকাল পর্যন্ত নদীতে তলিয়ে যাওয়া ব্যাক্তির কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি। এ বিষয় এ
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক রাজীব চৌধুরী বলেন, “নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ভৈরব থেকে ডুবুরি দল কাজ করছে। আশা করছি দ্রুতই তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।”
এদিকে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিদ্যাকুট (আক্কালিয়া পুকুর)–সেলিমনগর সড়কে ১০০ ফুটের একটি ব্রিজ না থাকায় কৃষকরা প্রতি বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হোন। বারবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত সেতুটি নির্মাণ হয়নি বলে জানান তারা।
ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দলের সদস্যরা বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।

