ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজবাড়ী সরকারী কলেজে প্রভাষককে কলার ধরে মারধরের অভিযোগ

admin
অক্টোবর ১৬, ২০২৫ ২:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজবাড়ী প্রতিনিধি ॥

রাজবাড়ী সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক একেএম আজাদুর রহমানকে কলার ধরে টেনে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে রাজবাড়ী সরকারী কলেজের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় দুই শিক্ষকের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী রাজবাড়ী সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এ কে এম আজাদুর রহমান বলেন, দুপুরে পরীক্ষার ডিউটি চলাকালে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক কুতুব উদ্দিনকে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষক ধাক্কা দিয়ে ফেলেন। পরে কুতুব উদ্দিন অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অভিযোগ লিখে কম্পিউটারে প্রিন্ট করতে গেলে কলেজের সহযোগী অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান ও কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল এসে তাকে (আজাদুর) কলার ধরে নিচে টেনে নিয়ে গিয়ে কিল-ঘুষি মারেন। এতে তার ঘাড়, চোখ ও মুখে আঘাত লাগে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং মামলা করবেন বলে জানান।”

রাজবাড়ী সরকারী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক কুতুব উদ্দিন বলেন, “পরীক্ষার সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের আমির স্যার আমাকে ধাক্কা দেন। আমি বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করতে গেলে মোস্তফা কামাল স্যার এসে আজাদুরকে কলার ধরে কিল-ঘুষি মারেন। ঠেকাতে গেলে বাংলা বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম স্যারকেও ঘুষি দেন। আজাদুরকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে।” আমি ঘটনার বিচার দাবী করছি।

অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তফা কামাল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ওরা একজন শিক্ষককে হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি জানতেই তাদের কাছে যাই। তখন আজাদুর খারাপ ব্যবহার করায় আমি কলার ধরেছিলাম, কিন্তু মারধর করিনি।” কোন শিক্ষককে হুমকি দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে বলেন, “তার বাড়ি খুলনা, এখানে চাকরি করে।”

রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম ইকরামুল করিম বলেন, “আমি শুনেছি দুই শিক্ষকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই।”